অবতক খবর,১৭ নভেম্বরঃ কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর সতী পোখর শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুলার বেহাল দশা এবং পৌরসভার বৈদ্যুতিক চুলার ইলেকট্রিক বিল এর খরচ বহন করতে না পারায় ব্যবহার হচ্ছে না। এ কারণে শেষকৃত্য করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে মানুষ কাঠ পুড়িয়ে মৃতদেহ দাহ করে পুরনো দিনের মতো। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ইসলামপুর শহরে মৃতদেহ সৎকারের জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় চুল্লি (বৈদ্যুতিক চুল্লি এবং বৈদ্যুতিক রথ) নির্মাণে আনুমানিক 5 কোটি 17 লাখ 84 হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছিল যাতে এই বৈদ্যুতিক চুল্লিটি করা যায়।

ইসলামপুর শহর ও আশপাশের এলাকায় ব্যবহৃত হয়।এলাকার মৃতদেহ দাহ করা যাবে। কিন্তু বৈদ্যুতিক চুল্লিগুলো দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় পড়ে থাকায় সাধারণ মানুষকে খড়ি কিনে আগুনে পুড়িয়ে লাশ দাহ করতে হচ্ছে।

প্রশ্ন জাগে কেন এই বৈদ্যুতিক চুল্লি ঠিক নেই? শ্মশানের সুপারভাইজার কিরণ বিশ্বাস বলেন, বৈদ্যুতিক চুলার মোটর জীর্ণ হয়ে গেছে, মাঝে মাঝে ধোঁয়া বের হতে থাকে, যা ঠিক করা হয় না। ইলেকট্রিক কোম্পানির দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারীরা চুল্লি ঠিক করছেন না। কিরণ বিশ্বাস আরো বলেন, এক মাসে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ বিদ্যুৎ বিল আসে, যার কারণে লোকসান হয়। এ কারণেই এই বৈদ্যুতিক চুল্লিটি বন্ধ রয়েছে। কিরণ বিশ্বাস আরও জানান, পৌরসভার চেয়ারম্যানকেও এ সমস্যার কথা জানানো হয়েছে, ওনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।

অন্যদিকে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি সুরজিত সেন বলেন, বৈদ্যুতিক চুল্লি ঠিকমতো মেরামত হচ্ছে না, সেখানে বকেয়া বৈদ্যুতিক বিলও ঠিক মতন দেওয়া হচ্ছে না। এর জন্য তিনি বর্তমান প্রশাসনকে দায়ী করেন। এছাড়াও CPI(M)-এর জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সপন গুহ নিয়োগীও সরকার ও প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইসলামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কানহাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, সমস্যা সমাধানে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। দ্রুত সমস্যা সমাধানের হবে।