অবতক খবর,২৭ মে: ইয়াস ঘূর্ণিঝড় তেমন প্রভাব না ফেললেও, তার জেরে আসা জলোচ্ছ্বাস নদী এবং সমুদ্রকে উত্তাল করে দিয়েছে।যার জেরে একের পর এক গ্রাম ভেসে গেছে। জলে প্লাবিত হয়েছে নদী-সমুদ্র লাগোয়া এলাকার বহু মানুষ। গৃহহীন হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগণায়।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী মেদেনীপুরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যের ২৫টি ব্লকের ১২০০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং ঝড়ের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই এলাকার প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ সরাসরি দুর্গত হয়েছেন। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫০ হাজার ও ফসল নষ্ঠ হয়েছে ৫০ হাজার হেক্টর জমির। জলের উচ্ছাসের জন্য প্রায় দেড়শ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭২ কিলোমিটার। ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে ৮৯৬টি। যেখানে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ আশ্রিত হয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৩৪টি বাঁধ ভেঙেছে,১৪ হাজার ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। দুই ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়াতে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

বিপর্যস্ত এলাকাগুলো ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (মুখ্য সচিব) এবং অন্যান্য জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ৭২ ঘন্টা সময় লাগবে এই সমস্ত দুর্গত এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিকঠাক নির্ধারিত করতে।

তাছাড়া রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে ত্রাণশিবির গুলো খোলা হয়েছে বা অস্থায়ী ঠিকানা তৈরি করা হয়েছে তাতে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, প্রায় এক কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া ১৪ হাজার ত্রাণ শিবির চলছে। টিন, চাল, ত্রিপল ১০ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ২ দিনে প্রায় অ
১০ কোটি টাকার ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।