অবতক খবর,২৩ ডিসেম্বরঃ শেষ পর্যন্ত ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধী একইসঙ্গে পাশাপাশি মুখ দেখালেন। তারা কোনোদিন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দুজনাই কাঁচরাপাড়ায় এসেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী আকাশ পথে এরোড্রোম থেকে নেমে কাঁচরাপাড়া হয়ে নৈহাটি ছাইগাদা ময়দানে ১৯৬৯ সালে বিধানসভার অন্তর্বর্তী নির্বাচনী প্রচারে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন আর রাজীব গান্ধীও কাঁচরাপাড়া স্পলডিং মাঠে ১৯৮৭ সালের মার্চ মাসে বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারে বক্তৃতা দিয়ে গিয়েছিলেন।

পাঞ্জাবে অমৃতসর মন্দিরে খালিস্তান আন্দোলনের বিরুদ্ধে ব্লুস্টার অপারেশনের (৬ জুন,১৯৮৪) কারণে ইন্দিরা গান্ধী নিজ বাসভবনে দেহরক্ষী দ্বারা নিহত হয়েছিলেন আর শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে তামিল নিধনে ভারতীয় শান্তি রক্ষী বাহিনীর সহযোগিতার কারণে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরাম্বুদুরে বক্তৃতাদানেথ সভায় মানব বোমা বিস্ফোরণে রাজীব গান্ধী নিহত হয়েছিলেন। ভারতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দুজন প্রধানমন্ত্রী পরপর এভাবে খুন হয়ে যাবার ঘটনা ঐতিহাসিক এবং আন্তর্জাতিক।

কাঁচরাপাড়া বাগমোড় অঞ্চলে কোনোদিন এদের মূর্তি স্থাপিত হয়েছিল শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য। একদা তার ভক্তজনেরাই আরো উ উন্নয়ন প্রদর্শনের কারণে সেই দুই মূর্তিকে সম্পূর্ণ আড়াল করে বাস স্টপ তৈরি করে। বীজপুরের জনগণের কাছ থেকে ইন্দিরা ও রাজীবের প্রতিমূর্তি সম্পূর্ণ আড়ালে চলে যায়। তারা অদৃশ্য হয়ে যান। কথায় বলে আউট অফ সাইট আউট অফ মাইন্ড। তো এ বছর অর্থাৎ 2022 সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুদিনে এই উন্নয়ন মার্কা অপকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্থানীয় পোর্টাল মিডিয়া অবতক সরব ও সোচ্চার হওয়ায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের টনক নড়ে।

শেষ পর্যন্ত ২৩ ডিসেম্বর দুই প্রধানমন্ত্রীর প্রতিমূর্তি স্ সাফসুতরো করে তা যেন বীজপুরবাসীর সম্পূর্ণ দৃশ্যমান থাকে তার ব্যবস্থা করা হয়। এই কর্মটি সম্পন্ন করে বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী তার দায়বোধের পরিচয় রেখেছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা প্রবীর সরকার খোকন তালুকদার দীপন দত্ত প্রমূখ।

উল্লেখ্য ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর আবক্ষ প্রতিমূর্তি উদ্বোধন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস ও বিরোধী দলনেতা বিধায়ক অতীশ চন্দ্র সিনহা। সেটা ছিল ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ সাল।