অবতক খবর: গলসিতে তৃণমূলের ভোটপ্রচারে যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। বুধবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে হাজিরা ছিল সায়নীর। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি) গত শুক্রবার প্রথম সমন পাঠিয়েছিল যুব তৃণমূলের সভানেত্রী। ফের তাঁকে ডেকেছিল।

ইডির সল্টলেকের অফিস সিজিও কমপ্লেক্সে বুধবার সায়নী ঘোষের যাওয়া নিয়ে জলঘোলা প্রথম থেকেই হয়েছে। এদিন তিনি নিজে না গিয়ে ৫৩০ পাতার নোট পাঠিয়ে দেয় আইনজীবি মারফৎ।ইডির তলবে আজ সিজিও কমপ্লেক্সে যাচ্ছেন না সায়নী ঘোষ, দাবি করেছেন কুণাল ঘোষের। ‘পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে আজ গলসিতে যাবেন সায়নী’। ‘ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী’ দাবি কুণাল ঘোষের ।

ইডির নজরে সায়নী ঘোষ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সায়নীর আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির হিসেবেও সঙ্গতিহীন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সায়নী শেষ যে আয়কর জমা দিয়েছেন, তাতে বছরে আয় দেখিয়েছেন সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। অথচ তাঁর ফ্ল্যাটের দাম ৮০ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রশ্ন, এত টাকার দামের ফ্ল্যাট কী করে কিনলেন সায়নী?

গত শুক্রবার ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার ফের সায়নী ঘোষকে তলব করে ইডি। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি চেয়েছিল তদন্তয়াক্রি সংস্থা, যুব তৃণমূলের সভানেত্রীর থেকে । ইডি-র স্ক্যানারে ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের সায়নীর দুটি ফ্ল্যাট। জানা গিয়েছে, গল্ফগ্রিনে ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট কিনতে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ নেন, দাবি সায়নীর। ‘ফ্ল্যাটের ইএমআই কে জমা দেয়? আয়ের উৎস কী?’ জানতে নথি নিয়ে সায়নীকে তলব করে ইডি। সূত্রে খবর, বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ গল্ফ গ্রিন থেকে বেরিয়ে যান সায়নী ঘোষ।