অবতক খবর,৭ এপ্রিল,মালদা- ‘ইট রাইট ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগিতায় যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মালদহ জেলা। খাদ্য সুরক্ষা বিষয়ক এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত দুই বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিযোগিতা হয়।

খাদ্য সুরক্ষা বিষয়ে লাইসেন্স প্রদান, রেজিস্ট্রেশন, খাদ্য সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করে গুণগতমান যাচাই, জেলার বিভিন্ন খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্ট গুলির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার বিষয় গুলি নিয়ে এই প্রতিযোগিতা।

এই বছর দেশের ২৬০ টি জেলা অংশগ্রহণ করে। জেলা গুলির মধ্যে যুগ্মভাবে বারাণসী ও মালদহ জেলা তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মোট ২০০ নম্বরের এ প্রতিযোগিতা। মালদহ জেলা ও বারাণসী জেলা পেয়েছে ১৯২। প্রথম স্থান অধিকার করেছে তামিলনাড়ু রাজ্যের কোয়েম্বাটুর জেলা।

মালদা জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের এক মে থেকে ১৫ই নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ছয় মাস ধরে বিভিন্ন কাজের ওপর এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা দফতর। এই সময়ের মধ্যে মালদহ জেলার প্রতিটি ব্লক স্তরে নিয়মিত ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও খাদ্য সুরক্ষা বিষয়ক লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছিল।

এই সমস্ত বিষয়গুলির ওপর নিয়মিত সঠিক কাজ করে মালদহ জেলার খাদ্য সুরক্ষা দফতর দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

শুধুমাত্র দফতরের আধিকারিকেরা নয় জেলার প্রতিটি ব্যবসায়ীরা এই কাজে ব্যাপকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনকে। অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের মধ্যে খাদ্য সুরক্ষা বিষয়ে বর্তমানে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি অনেকেই সচেতন হয়ে স্বইচ্ছায় খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে শংসাপত্র রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য যোগাযোগ করছেন সংশ্লিষ্ট দফতরে। বিষয়ে মালদায় জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, খাদ্য সুরক্ষা বিষয়ক ইট রাইট ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় মালদহ জেলা যুগ্ম ভাবে তৃতীয় হয়েছে। এই প্রতিযোগিতার বিভিন্ন যে সমস্ত বিষয়গুলি ছিল সেগুলিতে উন্নতির জোর দেওয়া হয়েছিল। সেই সমস্ত বিষয়গুলিতে উন্নতি করার সুবাদেই এই সাফল্য।

মালদা হয়েছিল খাদ্য সুরক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৭ জুন ফুট সেফটি দিবস। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সেই দিনই এই সাফল্যের পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। জেলায় খাদ্য সুরক্ষা বিষয়ক এমন সাফল্যে খুশি জেলার ব্যবসায়ী মহল।