অবতক খবর,৬ মে,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমানঃ প্রাচীন শতাব্দীর ইচুগ্রামের বাবা বুড়োরাজের

ঐতিহ্যপূর্ণ প্রাচীন মন্তেশ্বর ব্লকের ফতলপুর, পিপলনগ্রাম সহ একাকার তিন চারটি গ্রামের

জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই এই পুজোয় প্রত্যক্ষভাবে যোগদান করে । এই বাবা বুড়োরাজের পূজা ইচুগ্রামে অবস্থিত হলেও পিপলন, ফতলপুর গ্রাম সহ আশপাশের চার, পাঁচটা গ্রামের তিনদিনের প্রাচীন শতাব্দীর বাবা বুড়োরাজের পূজা আনন্দ উৎসাহের সঙ্গে মহাসমারোহে হচ্ছে ইচু গ্রামে।এই পূজা উপলক্ষে গ্রামের মানুষজনের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। পিপলন গ্রামের বাসিন্দা তথা পূজার পুরোহিত, মানব ঘোষাল, ইচুগ্রামের বাসিন্দা তথা পিপলন অঞ্চলের প্রধান সেখ শরিফুদ্দিন, ফতলপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির এক সদস্য তরুণ মন্ডলরা জানান ইচুগ্রামটিতে সম্পূর্ণ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করলেইও তারাও এই পুজাতে সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দেয়।

এই ইচু গ্রামে বাবা বুড়োরাজের মন্দির এলাকায় প্রত্যেক বছর বৈশাখ মাসে বুদ্ধ পূর্ণিমার তিথিতে এই পূজা হয়। তাই এই বছর শুক্রবার বুদ্ধ পূর্ণিমার তিথিতে তিনদিনের প্রাচীন শতাব্দীর বাবা বুড়োরাজের প্রথম পূজা শুরু হয়। পূজা চলে চার থেকে পাঁচ দিন। পূজা উপলক্ষে ইচু গ্রামে চার পাঁচ দিন যাত্রা ,বাউল ,পুতুল নাচ ,অরকেস্টা ও আলোকসজ্জা সহ প্রত্যেকদিন আলাদা আলাদা ভাবে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় বলে জানান পূজা কর্মকর্তারা।

পূজা উপলক্ষে ইচু সহ পিপলন, ফতলপুর গ্রাম নিয়ে প্রত্যেক বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসে। গ্রাম সহ আশপাশে গ্রামের মানুষজন সহ প্রত্যেকদিন পূজা উপলক্ষে ইচু গ্রামের পূজা তলায় পূজা দেখতে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার মানুষজন সমাগম হয়।

বড় মেলা বসে মেলা চলে ৭ থেকে ৮ দিন এই কদিন ইচুগ্রাম সহ আসপাশের গ্রামের মানুষজন আনন্দের সঙ্গে দিন কাটায় তাই এই বছরও ধুমধামে সহিত মহাসমরে আনন্দ উৎসাহের সঙ্গে বাবা বুড়োরাজের পূজা হচ্ছে ।