পার্শ্ব শিক্ষকরা জানেন না শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তারা পালিত পুত্র কন্যার মতো। তারও একটা দায়িত্ব থেকে যায়। তিনি বোধহয় গোপনে রাতের অন্ধকারে অনশন ময়দান ঘুরে যান।

আয়না
তমাল সাহা

শিক্ষামন্ত্রীর এত চওড়া বুক
ভালোবাসা নেই সেইখানে?
তোমরা এত ভুল বোঝো তাকে
কী করে কে জানে!

তিনি গভীর রাতে আসেন অনশন ময়দানে
খুব দয়ার শরীর তার, কাঁদেন গোপনে।

কতজন আছে অনশনে
তিনি দেখেন কড় গুণে গুণে।
তিনি শান্তি পান—
আহা!চল্লিশ পঞ্চাশ জন ছাড়া
আর কেউ নেই সেইখানে।
বাকি টিচাররা স্কুল ফাঁকি মেরে
ঘুরে বেড়ায়
শিক্ষকদের কী এসব শোভা পায়?

এতদিনে বুঝি,
খুব ভালো শিখেছেন তিনি শতকিয়া।
গুণতে শিখিয়েছেন কোন গুরুমশাই তাঁকে?
সংখ্যা গণনে পিএইচডি করে ফেলেছেন
তিনি কোন ফাঁকে।

টাকাও গুণতে পারেন তিনি—
মুখ্যমন্ত্রী পান এক লক্ষ সতেরো হাজার এক টাকা
পূর্ণমন্ত্রী পান এক লক্ষ বারো হাজার টাকা
প্রতিমন্ত্রী পান এক লক্ষ এগারো হাজার একশো টাকা
এমএলএ পান একাশি হাজার সাতশো আশি টাকা।

তিনি কি প্রশ্ন তোলেন
তাদের লাগে কেন এত টাকা?
পার্শ্ব শিক্ষকদের বেলায় সব ফাঁকা।

তার শিক্ষা বহর দেখে উড়ে আসে ছাই।
নিজের মুখ দেখে নিজেকে চিনুক —
চলো, তার বাড়ি,
একটা আয়না দিয়ে আসি ভাই।