অবতক খবর,১৩ জুন,কলকাতা,সুমিত: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সোমবার বিকেলে সিবিআই দফতরে পৌঁছন প্রাইমারি বোর্ডের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং পর্ষদ সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী। নিজাম প্যালেসে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় কাটান দু’জনে । ভিতরে কী চলছে?

২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকাকে সোমবার বেআইনি ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান  ২৬৯ জনের চাকরি বেআইনি। এদের সকলের বেতন বন্ধ করতে হবে। ২৬৯ জন সোমবার থেকেই স্কুলের কোনও কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। একই সঙ্গে দুই কর্তাকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সিবিআই দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।


নির্দেশ মতো, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার আগেই নিজাম প্যালেসে যান মানিক ভট্টাচার্য এবং রত্না চক্রবর্তী বাগচী। রাত সাড়ে আটটার পর তাঁরা বের হন। সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দু’জন করে অফিসার মানিক ভট্টাচার্য এবং রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আলাদা ঘরে বসিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের থেকে একই প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন সিবিআই-এর অফিসাররা। দুই কর্তা ওই সমস্ত প্রশ্নের কী উত্তর দেন তা মিলিয়ে দেখবেন তাড়া।

আগেই অভিযোগ উঠেছে যে রাজ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে মাত্র ২৬৯ জনকে ১ নম্বর বাড়িয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, এদের মধ্যে অনেকেই পরীক্ষায় পাশ না করলেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আদালতের প্রশ্ন ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৬৯ জনকে কেন নিয়োগ করা হল? এছাড়া যেখানে ফেব্রুয়ারি মাসে বোর্ড জানিয়েছিল শূন্য পদ নেই সেখানে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে কীভাবে নতুন পদ তৈরি হয়? সেই প্রশ্ন ও করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।