আর্কাইভ থেকে পাওয়া তথ্যের পর সাহিত্য মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা

অবতক খবর,১২ অক্টোবরঃ বাংলা সাহিত্য জগতে চিরকালীন প্রবাদ ছিল, “তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা সঠিক অনুবাদের অভাবে নোবেল জয় করতে পারেনি।” এবার সেই প্রবাদকে কার্যত উড়িয়ে দিল সুইডিশ নোবেল কমিটি।

তাদের আর্কাইভ থেকে পাওয়া তথ্যের পর সাহিত্য মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা, তাহলে কি সত্যিই বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় নোবেল আসতে পারতো তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে?

১৯০১ সাল থেকে ফরাসি কবি সুলি প্রুদোমকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় সাহিত্য বিভাগে নোবেল পুরস্কার প্রদানের রীতি। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের হাত ধরে সেই নোবেল আসে ভারতেও। কিন্তু তারমধ্যেই তারাশঙ্কর সাহিত্যের নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে পাঠক মহলে বারবার আলোচিত হয়েছে। কোনো কোনো সাহিত্যিককে অক্ষেপের সুরে বলতেও

শোনা গিয়েছে,” নোবেল কমিটি বোধহয় তারাশঙ্করকে পড়েন নি কোনো দিন।” নিজের সাহিত্যের ইংরেজী অনুবাদ না হওয়া নিয়ে আক্ষেপ ছিল খোদ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সম্প্রতি নোবেল কমিটি তাদের আর্কাইভ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দিতেই ঘটল চমক, দেখা গেল ১৯৭১ সাল যে বছর তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত হলেন সে বছর নোবেলের জন্য গোটা বিশ্বের ৯১ জন সাহিত্যিকের মধ্যে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে ততদিনে তিনি পরলোক গমন করায় শেষ পর্যন্ত তাঁর সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়, এবং সে বছর নোবেল পান চিলির কবি পাবলো নেরুদা। তবে তাঁর সাহিত্য যে নোবেল দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিল সেখানেই যেন লাভপুরের গর্ব আরও কিছুটা বাড়লো, বলছেন নাট্য ব্যক্তিত্য উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়।

 

*লাভপুর থেকে মৃন্ময় লাহিড়ীএর রিপোর্ট*বীরভূম