আমৃত্যু লড়াকু সমাজকর্মী মহান শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের মৃত্যুদিন ৫ জুলাই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা। আততায়ীর বুলেটে তিনি নিহত হন।
অবতকের শ্রদ্ধা নিবেদন
বরুণের গান/তমাল সাহা
বরুণ তো বাতাস
বিশ্বাস ছিল তার মনে।
ব-য়ে বন্দুক, ব-য়ে বুলেট
সে কি আর না জানে?
কিছু মানুষ বড়ই বেপরোয়া
বরুণ তো তা হবেই
বাতাস যখন দুরন্ত দুর্বার
অগ্নিকোণে ঝড় উঠবেই।
কী করেছিল সে?
উদ্ধত বরুণ, ভয়ঙ্কর তার চোখরাঙানি
নারী তো মা!কে করে তার মর্যাদাহানি!
গুলিটি লেগেছিল ঠিক কানের পাশে, মাথায় ব্ল্যাঙ্ক পয়েন্টে
ততক্ষণে মিশে গেছে
মুদ্রা মস্তান নেতা জয়েন্টে জয়েন্টে।
বরুণকে কারা মেরেছিল
মেরেছিল কোন শয়তানে?
মৃত্যুদৃশ্য যারা দেখেছিল
বা দেখেও দেখেনি তারা শুধু নয়,
আকাশ বাতাস সকলেই জানে।
খুনিরা ঢুকেছিল
কোন পার্টির ছাতার তলায়
কোন নেতারা পেয়েছিল হিস্যা
তাদের কি নামে ডাকবে তুমি
দেশনেতা নাকি রাজনীতির বেশ্যা?
নেতারা হারামি হবে
বরুণ থেকে যাবে
যেমন প্রবহমান বাতাস
বিশ্বাস তো মানসিক শক্তি
যাপিত জীবনের প্রশ্বাস।
লড়াই জীবনের হিম্মৎ
বড় নয়, জয়-পরাজয়
বরুণের নামে এখনো
বজ্রবিদ্যুৎ ঝড়বৃষ্টি হয়।
বরুণের জন্য কাঁদিনা আমরা
করিনা কোনো শোক।
বরুণকে সামনে রেখে
অশ্রুকণা দাবানলে পরিণত হোক।
বরুণরা লড়ে, বরুণরা কি মরে?
কিন্তু মরে না লড়াই
তার জন্য আমরা
আজোও কবিতা লিখে যাই।