অবতক খবর: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট আবহে মঙ্গলবার জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন। জলপাইগুড়ির নির্বাচনী সভা থেকে মমতা সুর চড়িয়ে বলেন, ‘বিজেপির আয়ু মাত্র ৬ মাস। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি,মার্চ মাসে লোকসভা ভোট। আমি যদি ভারতবর্ষকে চিনি, বিজেপি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।‘

মমতা আরও বলেন, ‘আগামী দিনে নরেন্দ্র মোদিকে সরানোর শপথ নেওয়ার দিন। আমরা জোট করব। কিন্তু এখানে বিজেপি কংগ্রেস সিপিআইএম যে ভাবে কাজ করছে তাদের মুখ ভোতা করে দেব আমরা। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে নেই।‘ প্রসঙ্গত, রাজ্যে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার নদিয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে সরাসরি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একশো দিনের টাকা না ছাড়া নিয়ে সরব হন তিনি। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বার্তাও দিতে গিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর গ্রামবাংলার মানুষকে নিয়ে নয়াদিল্লি অভিযান করার কথাও জানিয়ে দিলেন। আর এভাবেই দিল্লির বুক থেকে টাকা ছিনিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।

নয়াদিল্লি অভিযানের আগে মানুষের কাছ থেকে সম্মতি আদায় প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভামঞ্চ থেকে বলেন, ‘একশো দিনের কাজের টাকা আদায় করতে কোন পথে হাঁটা উচিত? প্রথমে ভালভাবে বলব বাংলার টাকা ছেড়ে দিন। দ্বিতীয় পথ হল পা ধরা। আর তৃতীয় পথ হল— দিল্লি চলো অভিযান। আপনারা বলুন কোন পথে হাঁটব? পায়ে ধরো না দিল্লি চলো। ভালভাবে বলা হয়ে গিয়েছে। অনেকবার ভালভাবে বলেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। তাই আপনাদের কাছে আজ জানতে চাইছি, কোন পথে আমরা হাঁটব?’ সমস্বরে চিৎকার করে মানুষ জবাব দিলেন, ‘দিল্লি চলো অভিযান’। প্রত্যুত্তরে অভিষেক বললেন, ‘তাই হবে। তবে তার জন্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্ত করতে হবে।’