চার আগস্ট তাঁর জন্মদিন। চারটের সময় জন্ম। চতুর্থ সন্তান। চারবার পাণিগ্রহণ।চারটি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয়। সরকারি স্তাবকতা করেন নি কোনোদিন। চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় মানুষটির ধ্রুপদী সত্তা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।তাঁকে দিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইয়েছিলেন। পথের পাঁচালী-র সেই দুঃসময়ে কিশোরকুমার মহানের পাশে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সত্যজিৎ রায় সে টাকা ফিরিয়েও দিয়েছেন।

আমার কিশোর কুমার
তমাল সাহা

জড়িয়ে ধরেছি যারে সে আমার নয়।
এখনও তার কথা তোমার মনে হয়?
অথবা নয়ন সরসী কেন ভরেছে জলে,কত কি কথা লেখা রয়েছে কাজলে কাজলে।
কাজলে কি লেখা থাকে?
মনের দরজা খুলে দে না,
খুঁজে পাবি তাকে।

একদিন পাখি উড়ে যাবে…
সে জানতো, তাইতো সে গেয়েছিল,
চোখের জলের হয়না কোন রং।
আমি যে কে তোমার তুমি তা জেনে নাও
জীবন এক অপরূপ অপূর্ব সঙ্!

কি আশায় বাঁধি খেলাঘর…
এই দার্শনিকতা যে জানে সেই তো চারণ।
সেই তো জানে
কোথায় বাঁধা আছে জীবন- মরণ!

তবু বলেছিল,কী বলেছিল! আমার পূজার ফুল ভালোবাসা হয়ে গেছে… কিভাবে যে পূজার ফুল ভালবাসা হয়ে যায়
এই গূঢ় অনুভব যে জানে পৃথিবীর শাসন কি সে মানে?

তাই তো সে বলেছিল,
তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে আমার মরণ যাত্রা যেদিন যাবে, তখনও
চিরদিনই তুমি যে আমার…

ভালোবাসার বৈভবে সে গাইতে থাকবে
আমার তো গান ছিল আশা ছিল মনে,
আমি প্রেমের পথিক
হাওয়ায়ে মেঘ সরায়ে— দেখো আমারে,
যখন আমি অনেক দূরে…

কারো কেউ নইকো আমি…
কে আমি,কী আমি
সে তো শুধু জানে অন্তর্যামী।