অবতক খবর,২০ এপ্রিল,নদীয়া: বিশ্ব মাঝারে সমাদৃত রাজ্য সরকারের সবুজ সাথী প্রকল্প। যার ফলে বাংলার বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা ইতিমধ্যেই দূরত্ব দূরে সরিয়ে হাতের নাগালে বিদ্যালয় পেয়েছে। সম্প্রতি কিছুদিন আগে নদীয়ার ভীমপুর, হবিব পুর রানাঘাট অঞ্চলে প্রকাশ্যে এসেছিল সাইকেল দু চারশ টাকায় বেচে দেওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

সেক্ষেত্রে বেশকিছু অভিভাবক সহমত পোষণ করেছিলেন, নতুন সাইকেল কেনার পরেও তা চালানোর উপযোগী করে তুলতে বেশকিছু অর্থ খরচ করতে হচ্ছিলো। তবে শান্তিপুরে আজকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির শহর -১ মন্ডল সভাপতি রাজু বৈরাগী জানান, ভোটের স্বার্থে এ সরকার সকলকে খুশি রাখতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অঢেল সাইকেল দিয়েছে, বিতরণ অনুযায়ী তা আবার একত্রিত করতে বললে দেখা যাবে অর্ধেকের বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। অথচ সর্বসাধারণের জন্য বহু প্রকল্প অর্থাভাবে বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার। আইনি বাধা কারণে তা নিতে বাধ্য হচ্ছেন অভিভাবকরা, গুণগতমান দেখে তা চালানোর উপযোগী না হওয়ার কারণে বেচে দিচ্ছেন অনেকেই।

এ প্রসঙ্গে পৌর প্রধান সুব্রত ঘোষ জানান, উপযুক্ত প্রমাণ পেলে নিশ্চয়ই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে মহৎ উদ্দেশ্যের কথা মাথায় রেখে। তিনি বলেন প্রয়োজন না থাকলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে, তাই বলে মেয়ে কম দামে বেচে দেওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয়। মুখ্যমন্ত্রী ধরনের পরিকল্পনাই উপকৃত লাখো লাখো ছাত্র-ছাত্রী, তার মধ্যে সামান্য একটা অংশের এ ধরনের অন্যায় কাজের জন্য ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে সরকারের।

তবে পুরনো ভাঙাচোরা লোহার অংশবিশেষ কেনা গোলার মালিকরা জানান, প্রায়শই বিভিন্ন সাইকেল বিক্রি করা হয় সবুজ সাথীর স্টিকার ছাড়া, তাই বোঝা সম্ভব হয় না। শান্তিপুর বেড় পাড়ায় এ ধরনের সাইকেল কেনার চিত্র ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। মতিগঞ্জ মোড়ে ভাঙ্গাচোড়া গোলায় লক্ষ্য করা গেল আরো এক ধরনের দুটি সাইকেল।