অবতক খবর,৮ জুন: আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করাবো এমন একজন মানুষের , হয়তো এই রকম মানুষ আপনারা আগে দেখেছেন কিনা আমরা জানি না। ডানকুনি পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের বাস করেন কালাচাঁদ সেনগুপ্ত। এলাকায় তার আরেকটি নাম আছে , উনি এলাকায় কেস কাকু নামে পরিচিত। হ্যাঁ, আপনারা ঠিকই শুনছেন কেস কাকু নামে পরিচিত।

তার বাড়ির আশেপাশে যত প্রতিবেশী আছে এমন কোন মানুষ তার কাছ থেকে বাঁচতে পারেনি। জমি জায়গার বিবাদে আশেপাশের প্রায় 15 টি লোকের নামে তিনি মামলা করেছেন। এমনকি পাশের বাড়িতে রং করতে আসা রংমিস্ত্রি নামেও তিনি মামলা করে দিয়েছেন। পাড়ায় যে ফেরিওয়ালা ফেরি করতে আসেন তাকেও তিনি ছাড়েননি ফেরিওয়ালা থেকে ফল ওয়ালা কাউকে ছাড়েননি, তিনি তার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যে ফল বিক্রি করতে যায় তাদের নামেও তিনি মামলা করে দেন। আমফান ও ইয়াসে প্রতিবেশীর বাড়ির গাছের নারকোল পাতা সুপারি উড়ে এসে তার বাড়িতে পরে তার জন্যও তিনি প্রতিবেশীর নামে মামলা করেন ।

গত সপ্তাহে তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কিছু জমি জায়গা নিয়ে ঝামেলা হয়। এই ঝামেলা দীর্ঘ 15 বছর ধরে চলছে। এলাকার কাউন্সিলর কল্লোল ব্যানার্জির কাছে সাধারণ মানুষ তার নামে একটি লিখিত আবেদনপত্র জমা দেন। সেই ভিত্তিতে কল্লোল ব্যানার্জি সেই বিবাদ মেটানোর জন্য গেলে তার নামে কেস করে দেয়া হয়। ঘটনা এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে তিনি বলেন যে আমি সুরক্ষিত নয় , কালাচাঁদ বাবু বলেন এলাকার কাউন্সিলর আমাকে হুমকি দিচ্ছেন প্রাণে মারার তাই আমি কাউন্সিলরের নামে মামলা করেছি।

কিন্তু সাধারণ মানুষ বলেছেন আমাদের মত আমাদের কাউন্সিলর কে বিনা দোষে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ সেই জমিতে তিনি পাঁচিল তুলে দিয়েছেন। এবং তার প্রতিবেশীরা তার প্রতিবাদ জানালে যে আপনি আপনার জমি মেপে আপনার জমিতে পাঁচিল দিন বা তার দিয়ে ঘিরে দিন কিন্তু অন্যের জমিতে কেন এই রকম জিনিস করছেন। সেটা বলতে গেলে তাদের বিরুদ্ধেও চড়াও হয় এই কেস কাকু।

তিনি তার বাড়ির আশেপাশে চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখে দিয়েছেন। তার পার্শ্ববর্তী একজন মহিলা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে তিনি তার বাথরুমের দিকে। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছেন এমনকি তিনি প্রমাণ দিয়েছেন যে তাকে আমি বাথরুমের ভেতর থেকে তা সিসিটিভি ক্যামেরা টা দেখা যায়। তিনি বলছেন যে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কিন্তু নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তাহলে কি সাধারণ মানুষ থেকে ফল বিক্রেতা রংমিস্ত্রি সবার নামে এইরকম ভাবে মামলা করা যায়। তার কাছে কোন পেপার পত্র নেই তাছাড়া তিনি তার জমি এবং অন্যের জমির আশেপাশে বেড়া দিয়ে দিচ্ছেন কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এমনকি তিনি পৌরসভা কেও ছাড়েননি পৌরসভার নামে মামলা করেছেন।

এখন দেখার বিষয় তার এই মামলা করার নেশা কোথায় গিয়ে শেষ হয়। কাউন্সিলার কল্লোল ব্যানার্জি বলেন আমরা সাধারণ মানুষ যেখানে রবিবার একদিন মাংস ভাত খেয়ে মনের রসোদ মেটাই। সেইখানে কালাচাঁদ বাবু প্রতি সপ্তাহে একজন না একজন কারো নামে কেস করেন। কল্লোল বাবু বলেন যে তিনি হয়তো এই সাধারণ মানুষের নামে নিরুপায় মানুষের নামে কেস করে এভাবে শান্তি পায়। তার এই মামলা-মোকদ্দমার ভয়ে তার বাড়ির আশেপাশে দিয়ে সাধারণ মানুষ যেতে ভয় পায়। এলাকার কাউন্সিলর কল্লোল ব্যানার্জি বলেন আমি তাদের ঝামেলা মেটাতে গিয়েছিলাম সেখানে, তাই আমার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে ।