অবতক খবর, ২৫ জুলাই: মধ্যরাতের আগুনের কড়াল গ্রাস কেড়ে নিল ৩৫ টি পরিবারের মুখের গ্রাস। ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটি থানা এলাকার কেষ্টপুর সংলগ্ন শতরূপা পল্লিতে। শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলতে দেখা যায় ওই পল্লি এলাকার একটি দোকানঘরে। সেখান থেকেই মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী বাকি দোকান ঘর গুলিতে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “আগুনে লাগার চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতেই শুনতে পাই জোরে একটি শব্দ। তারপরই দেখি দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ল গোটা এলাকাতে।” স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু তাতেও বিপত্তি। পরপর ৩ টি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ার কারণে আগুনের ভয়াবহতা আরও বেড়ে যায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে দোকানঘর সংলগ্ন বস্তি এলাকাতেও। পার্শ্ববর্তী কেষ্টপুর খাল থেকে জল নিয়ে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রায় ৩০ মিনিট পরে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। তারা কাজ শুরু করার পর আরও ১৫ মিনিট পরে ৮টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছায় ভি আই পি রোডে। এরপরেই জোর কদমে শুরু হয় আগুনকে অ্যারেস্ট করার কাজ। কিন্তু ততক্ষনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে ৩৫ টি দোকানঘর। সোনার দোকান থেকে শুরু করে সাইকেল সারানোর দোকান, আসবাবপত্রের দোকান থেকে চায়ের দোকান। কোনও কিছুই অবশিষ্ট ছিল লেলিহান শিখার সামনে। পরে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস। তিনি নিজে দমকল কর্মীদের নির্দেশ দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন। যাতে দমকল কর্মীদের কাজে কোনও অসুবিধা না হয়। পরে ওই বস্তির বাসিন্দাদের সঙ্গে নিজে আলাদা ভাবে কথা বলে তাদের অবস্থা সম্বন্ধে জেনে নেন সুজিত বোস। এদিন তিনি বলেন, “কিভাবে আগুন লাগল তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসলেও ১০ ইঞ্জিন কাজ করছে। ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।” এদিন ফায়ার ব্রিগেডের দুটি রোবট ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হলেও তা কাজে ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি।