অবতক খবর নিউজ ব্যুরো :: ১৩ই,নভেম্বর :: কোলকাতা :: প্রশান্ত কিশোরের ‘ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’ বা আইপিএসি নামে একটি সংস্থা আছে। তৃণমূলের সঙ্গে চুক্তির পর প্রশান্ত কিশোর প্রথমে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেন। এর আওতায় একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়। ওই ফোন নম্বরে ফোন করে সাধারণ মানুষ মমতার কাছে তাঁদের অভাব, অভিযোগ ও সমস্যার কথা জানান।

সেই কর্মসূচিতে মোটামুটি সাড়া মেলে মমতার। কিন্তু সেই সাড়া কতটুকু ভোটযন্ত্রে প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে খোদ তৃণমূলের অন্দরেই। অভিযোগ উঠেছে ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নে বহু তৃণমূল নেতা–কর্মী সেভাবে কাজ করেননি। ফলে এখনই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠে এসেছে ভোটগুরুর জাদু কি তবে ফিকে হয়ে যাবে? যদিও বিজেপি বলেই রেখেছে, তৃণমূলের কোনো জাদু কাজ করবে না। মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিজেপির দিকে।

প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ২০১২ সালে গুজরাটের নির্বাচনে দায়িত্বে ছিল। সেবার তৃতীয়বারের জন্য মোদি ক্ষমতায় আসেন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে এই সংস্থার পরামর্শে ‘হর হর মোদি, ঘর ঘর মোদি’ আর ‘চায়ে পে চর্চা’ স্লোগান তোলা হয়। মোদিকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে সংস্থার যথেষ্ট ভূমিকা আছে বলে মনে করা হয়। ২০১৫ সালে বিহারে নীতিশ-লালু প্রসাদ জোটকে ক্ষমতায় আনার কারিগর ছিল এই সংস্থা।

২০১৭ সালে ১০ বছর পর কংগ্রেস পাঞ্জাবে ক্ষমতায় আসে। নেপথ্যে থেকে কাজ করেন প্রশান্ত ও তাঁর আইপিএসি। এ বছর ২০১৯–এ অন্ধ্র প্রদেশের লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের নেতা জগন্মোহন রেড্ডিকে ক্ষমতায় আনার কারিগর হন। অন্ধ্র প্রদেশের ২৪টি লোকসভা আসনের ২২টিতে জেতেন রেড্ডি। আর বিধানসভার ১৭৫টি আসনের মধ্যে জেতেন ১৫১টি আসনে।

এই ফল দেখার পরই মমতা ঝুঁকে পড়েন প্রশান্ত কিশোরের দিকে। তারপর তাঁর সঙ্গে এক বৈঠক করে একটি চুক্তিও করেন।