অবতক খবর , নদীয়া :     কথায় আছে “তালে” তাল বাড়ে! অর্থাৎ সামান্য দামের তালের বড়া, তাল ক্ষীর, তালের লুচির মতো সুস্বাদু খাবার বানানোর তেল তেল, গুড়, কলা, নারকেলের মত উপকরণগুলি অত্যন্ত ব্যয় সাপেক্ষ। শুধু তাই নয় পরিশ্রম এবং সময় তার থেকেও মূল্যবান।

কিন্তু কথিত মত অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি তালের তৈরি খাবার ছাড়া অসম্পূর্ণ। বর্তমান ব্যস্ততার যুগে, গৃহিণীদের সময়াভাবে অনেকেই মিষ্টির দোকানের উপর নির্ভর করে থাকেন। কিন্তু এবছর করোনা আবহে আদৌ মিষ্টির দোকানে তালের বড়া পাওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে! কারণ হিসেবে দোকানদারের কাছ থেকে জানা যায়, লকডাউন এর মাঝে মিষ্টির দোকান খোলা থাকলেও বিভিন্ন পুজো অর্চনায়, সেই ভাবে বিক্রি হচ্ছে না মিষ্টি! এখানে তালের বড়া কোন নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না তারা।

একদিকে ভাদ্র মাসের পরিবর্তে তিথি অনুযায়ী বেশ খানিকটা এগিয়ে এসেছে জন্মাষ্টমী, অন্যদিকে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় পরিপক্ক হয়নি তাল। ফলে গৃহিণীর চাপে তাল জোগাড় করতে বেতাল হয়ে পড়েছেন পরিবার প্রধান। অন্য বছর দশ পনেরো কুড়ি টাকায় যে তাল পাওয়া যেত! এবার সেই তালই দেড়শ দুইশ এমনকি আড়াইশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে নারকেলের পরিস্থিতিও তথৈবচ, মোবাইলের টাওয়ার এর কল্যাণে ডাবেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়! নারকোল পর্যন্ত পৌঁছানোর সৌভাগ্য হয় না। দীর্ঘদিন কর্মহীন অবস্থায় গৃহবন্দী হিন্দুপরিবারগুলি এবছর কিভাবে জন্মাষ্টমী পালন করে তাই দেখার অপেক্ষায়।