অবতক খবর, ১৫ জুলাইঃ শ্রীরামচন্দ্রের পিতা দশরথ শব্দভেদী বাণ নিক্ষেপে নিপুণ ছিলেন। তিনি মৃগয়ায় বেরিয়েছিলেনৃ ঋষিকুমার শ্রবণ নদী থেকে _আজলা করে জল তুলে পান করছিলেন। রাজা দশরথ সেই জলপানের শব্দকে মৃগশাবকের জলপানের শব্দ মনে করে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। এবং তারপর? তারপর শব্দ ভেদী বাণ নিক্ষেপ করে ঋষিকুমারকে নিহত করেন। রামায়ণ উপাখ্যানে এসব লেখা আছে।

আমরা জানি শব্দই ব্রহ্ম। এটি বহুশ্রুত।

শব্দের আঘাতে হৃদয়বিদীর্ণ হয়। তা প্রেমিক প্রেমিকার চেয়ে কে বেশি জানে? শব্দের আঘাতে কত ভালোবাসা ভাঙচুর হয়ে গিয়েছে, সে তো মানব জীবনের ইতিহাস। সেই সব শব্দ এখন অস্ত্রবাণ রূপে দেখা দিয়েছে ভারতীয় সংসদে। যেই সংসদ এখন মহান এক সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট। ‌

তুমি কি পারো তোমার প্রেমিকাকে ব্লাডি বলে অভিহিত করতে? পারো না। তবে তাঁর হৃদয়ে ব্লাড শেড হবে। তুমি তাকে কেন বলবে ইউ আর বিট্রেইড,ইউ শুড বি অ্যাশেমড্। বুঝে গেছি হাউ মাচ ইউ লাভ মি!তোমার ওই লোকদেখানো ক্রোকোডাইল টিয়ারস্, ওসব থামাও। ঐ কুমিরের মায়ের কান্না আর আমার মনকে ভেজায় না। এসব ফলস্,মিথ্যা।

প্রেমিকা কি তার উত্তরে বলতে পারে ইউ আর কাওয়ার্ড,কোরাপ্ট।‌ তুমি এনার্কিস্ট, আমার ভালবাসাকে ভাঙচুর করে দিয়েছোস। তুমি বেহরি সরকারের মতৈ জুমলাবাজ! তুমি আমার ভালোবাসার হৃদয়ে দাঙ্গা বাঁধিয়ে দিয়েছো।

তুমি ভালোবাসাকে চাইল্ডিসনেস মনে করো! তুমি ভালোবাসার কালোবাজারি করো,আমি তা ধরে ফেলেছি। তুমি খুব অহংকার দেখাও। তোমার হিপোক্রেসি আমি খুলে দেবো। ইউ আর অ্যাবিউজড, তুমি বিনাশ পুরুষহ!

এই পরিবেশ পরিস্থিতি, এই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা দেখে কি কোনো কবি আবার লিখে ফেলবে, তাতে কি তার উদ্ধত্য প্রকাশ পাবে?

হে বর্ণমালা আমার, শেষ পর্যন্ত তুমি বিশ্বাসঘাতকতা করলে? গিরগিটিতে ভরে গিয়েছে এই দেশ।

বিভ্রান্ত করছে আমাদের বিনাশ পুরুষ। তবে কি কালাদিন এসে গেল! এই তানাশাহী জুলুমবাজি চলতেই থাকবে? রাষ্ট্রের এই নাটক আমরা আর কতদিন দেখবো? সরকার বেচারা! দেশ বেচে দেবে, সাজবে কর্পোরেটের দালাল।

এদিকে দাঙ্গা, যৌন নিপীড়ন চলতেই থাকবে। রাষ্ট্রের চোখ থেকে ঝরে পড়বে কুম্ভীরাশ্রু।

হে বর্ণমালা আমার!তুমি ববকাট চুল, ললিপপ মুখে দিব্যি বসে আছো!আমরা চোখে ধুলো দিয়ে মূর্খের মতো তাকিয়ে আছি তোমার দিকে।