অবতক খবর,৯ মে: সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। অশনির প্রভাবে গভীর নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় সকাল থেকেই দমকা হাওয়ার সাথে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়াও কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির ফলে একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়।কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ঘোষণা করল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকাগুলিতে চলছে মাইকিং,সকলকে সতর্ক থাকার জন্য জানানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। ২৪ ঘন্টা খোলা থাকছে কন্ট্রোল রুম।

বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ফসল ঘরে তুললেন কৃষকেরা। মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকায় সাগর,নামখানা, ঝড়খালি, ফ্রেজারগঞ্জ,কুলতলী, সুন্দরবন, ক্যানিং এলাকাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয় এবং মাইকিং করে সমস্ত মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোবে।এই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ৯০-১০৫ কিলোমিটার/ ঘন্টায়। বর্তমানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও এই ঝড় আছড়ে পড়ার পর উড়িষ্যা ও বাংলা উপকূলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।এছাড়াও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই ২৪পরগনায় ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।

এই মুহূর্তে তীব্র ঘূর্ণিঝড় অশনি পুড়ি থেকে 650 কিলোমিটার দক্ষিণে পশ্চিম মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে উপর রয়েছে। তার অভিমুখ 10 তারিখ পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলের দিকে যাবে ।10 তারিখের পরে এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগোবে উড়িষ্যা উপকূলের দিকে অর্থাৎ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে দিকে। তারপর বাক নিয়ে সাথে সাথে ঘূর্ণিঝড় খানিকটা দুর্বল হলে তীব্র ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ও উত্তর পূর্ব দিকে এগোবে।

আগামী 9 তারিখ থেকে 13 তারিখ উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সাথে হবে আজ 2 24 পরগনা, হাওড়া ,নদীয়া ,কলকাতা বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে ।10 তারিখ থেকে 12 তারিখ হাওড়া, দুই 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে। মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যে সমুদ্রের যেতে মানা করা হয়েছে।