অর্জুনের গড়ে তৃণমূলের দাবার চাল – আট পুরসভা নিয়ে নতুন কার্পোরেশন হচ্ছে বারাকপুর !

অবতক খবর নিউজ ব্যুরো :: ২৩শে,নভেম্বর :: ব্যারাকপুর : ::মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চেয়েছিলেন ব্যারাকপুর তার সংসদীয় এলাকায় গঠিত হোক ব্যারাকপুর পৌর কর্পোরেশন । উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে ইতিমধ্যেই কর্পোরেশন গঠনের নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফে গত জুলাই মাসে জেলাশাসককে এই ব্যাপারে পুরসভাগুলির মতামত জানাতে বলা হয়। তার ভিত্তিতেই মহকুমাশাসককে চিঠি পাঠিয়ে পুরসভাগুলির মতামত চান জেলাশাসক। তারপরই ৮টি পুরসভার চেয়ারম্যানদের চিঠি পাঠিয়েছেন মহকুমাশাসক। কর্পোরেশন গঠনের লক্ষ্যে পুরসভাগুলির কাছে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আয়-ব্যয়ের হিসেব, জনসংখ্যা, পুর এলাকার পরিমাপ ইত্যাদি।

এই আটটি পুরসভা হলো , কাঁচড়াপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, গারুলিয়া, উত্তর বারাকপুর, বারাকপুর ও টিটাগড়-এই আটটি পুরসভা নিয়ে কর্পোরেশন গঠিত হবে। কর্পোরেশন গঠনের লক্ষ্যে পুরসভাগুলির কাছে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আয়-ব্যয়ের হিসেব, জনসংখ্যা, পুর এলাকার পরিমাপ ইত্যাদি।

ঠিক এইখানেই ধন্দ বেধেছে বিজেপির । আয়ব্যয়ের হিসাব চাইলেই কিন্তু অর্জুনসিংহের আওতায় থাকা ভাটপাড়া পৌরসভা বিপদে পর্বে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা । এর আগে পৌরসভার হিসাব নিয়ে এমন উদাহরণ রয়েছে উত্তরবঙ্গেই । যখন বিমল গুরুঙ্গের মোর্চার আওতায় থাকা দার্জিলিং পুরো সভার আয়ব্যয়ের হিসাব চাওয়া হয় তখন বিমল গুরুঙ্গরা বিপদে পরে যান । হিসাব না মেলায় তড়িঘড়ি রাজ্য সরকারের স্পেশ্যাল অডিট টিম সেখানে পৌঁছে যায় । তাদেরকে অডিট করতে বাধাও দেওয়া হয় । পরের খবর অজানা নয় । বিমল গুরুঙ্গরা বলাযায় গ্রেপ্তারের ভয়ে দেশ ছাড়া ।

বিগত লোকসভা নির্বাচনের আগে স্থানীয় বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের আচমকা বিজপিতে যোগ দেওয়ায় বারাকপুরে রাজনৈতিক ডামাডোল সৃষ্টি হয়। যার রেশ কিছুটা এখনও পাওয়া যাচ্ছে। অর্জুন সিং বিজেপির সাংসদ হওয়ার পর থেকে বিজেপিও পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে।বিজেপির ব্যারাকপুর সাংসদীয় জেলার নেতা অরুণ ব্রক্ষ্ম । এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধিও রয়েছে বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।

আগামী পুরো সভার নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ কিন্তু এক ঢিলে দুই পাখি মারার লক্ষ । এতে ব্যারাকপুর সংসদীয় ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের খানিকটা কাছাকাছি আসা যাবে আবার এই ব্রম্ভস্ত্ৰ প্রয়োগ করেই অর্জুন এবং বিজেপিকে হয়তো একটা সবকও শেখানো যাবে ।