নিজস্ব সংবাদদাতা :: অবতক খবর :: ২২ নভেম্বর :: ইসলামপুর ::   রামগঞ্জ কে থানা ঘোষণার পাশাপাশি থানার ভবন তৈরির স্থান নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা স্মারকলিপি জমা দিলেন ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মাক্কারকে। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট বিষয় তারা পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।

ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মাক্কার জানান সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর জেলার রামগঞ্জকে যাতে থানা হিসেবে গড়ে তোলা যায় তার জন্য ইসলামপুর পুলিশ জেলার তরফে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে।তিস্তা প্রকল্পের জমিতে থানার ভবনটি তৈরির জন্য সেচ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেটিও একটি প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে সেখানে। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ওই এলাকাতেই থানা তৈরি হোক।

বাসিন্দাদের তরফে জানা গেছে, স্থানীয় মাদারীপুর এলাকায় পুলিশ থানার জন্য জমি পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু মাদারীপুর রামগঞ্জ থেকে অনেকটাই দূর। ফলে দুষ্কৃতী দমন কিংবা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি যাতে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন তেমনি একটা জায়গা নির্বাচন করা প্রয়োজন। তাই তারা তিস্তা প্রকল্পের জায়গাকেই চিহ্নিত করে সেখানে থানা তৈরি করা হোক। এদিন পুলিশের সঙ্গে এই বিষয়েই আলোচনায় বসলেন তারা।  অতিসত্বর যাতে রামগঞ্জে থানা তৈরি করা যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

গত এক দশকে থানা করার প্রস্তাব ফাইল বন্দী ছিল। সম্প্রতি সে ফাইল খুলে রামগঞ্জকে থানা হিসেবে ঘোষণা করা হলেও তার পরিকাঠামো নির্মাণ এখনো পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষে অজয় সরকার জানান, যেভাবে একের পর এক রামগঞ্জে অপরাধ বাড়ছে এবং দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে উঠেছে তাতে অবিলম্বে থানা তৈরি না হলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলেই মনে করছেন তারা। এমনকি মূলত ব্যবসায়ী কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত রামগঞ্জ থেকে ইসলামপুরে কোনও ব্যাংকে যেতে একাধিক বার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।ওই এলাকা ক্রমশ দুষ্কৃতী দের আখড়া হয়ে উঠেছে।তাই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁড়ির পক্ষে সম্ভৰ নয়। প্রয়োজন তাই থানার।তাই অবিলম্বে থানা তৈরির জোড়ালো দাবি উঠেছে।

এদিন নয়টি সরকারি দপ্তর ও বেসরকারি সংস্থা পৃথকভাবে লিখিত আকারে থানা তৈরির বিষয়টি জানিয়েছেন পুলিশ সুপারকে।