আজ আষাঢ়স্য চতুর্থ দিবস।

বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে বন্যা ধসে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারত। অসমে গত ৩ দিনে অন্তত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা বিধ্বস্ত মেঘালয়ে অন্তত ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ত্রিপুরার অনেক এলাকা জলের নিচে। ‌ একই অবস্থা প্রতিবেশী বাংলাদেশের। সেখানে এক সপ্তাহের ঝড় বৃষ্টিতে মৃত অন্তত ২৫। ৪০ লক্ষ মানুষ জলবন্দী। সংবাদ দিচ্ছে রয়টার্স।

অবতক-এর বিশেষ প্রতিবেদন

মনসৃজা চলো বৃষ্টিতে ভিজি

বৈকালিক আবহে মেঘ ডেকে ওঠে। আকাশ কালো হয়ে উঠতেই মনসৃজার কথা মনে পড়ে যায়। চোখে ভেসে ওঠে মেঘদূতে বর্ণনাময় শরীর।

মনসৃজার মুখের সঙ্গে মিলে গেলে মেঘমল্লার শব্দটিকে ভালোবেসে ফেলি, সে তখন বর্ষামঙ্গল হয়ে ওঠে।

‌হোয়াটস্অ্যাপে মেসেজ পাঠাই তাকে। সে পাল্টা উত্তর দেয় মেসেজে, তুমি তৈরি থেকো,আমি আসছি। বৃষ্টিতে ভিজবো,ক্রেগ পার্ক ঘিরে ভাগীরথীর তীরে। ‌বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া নৌকাগুলো চোখে পড়বে। নদীর জলের উপর ঝাপিয়ে নামবে বৃষ্টি। ‌কি দারুণ হবে বলোই না!

বৃষ্টিতে ভিজতে চেয়েছিল মনসৃজা। বলেছিলাম ছাদে উঠে একা ভেজো। ‌মুখটি কালো হয়ে গেল মেঘের মতো। মুখের আকাশ থমথমে। চোখ দুটো ভারী ভারী। বৃষ্টি নামবে মনে হল নারীর শরীর বেয়ে।

তখনই মনে পড়ল সেইসব কথা,তুমি যদি মেঘ হও আমি বৃষ্টি হবো। আমি বলি, ব্জ্রবিদ্যুৎ হয়ে নামবো তোমার আকাশে।

আসলে বৃষ্টি তো শুধু ভেজায় না,আরো কিছু করে। কদম ফুলের গন্ধ তখন মনসৃজার শরীর জুড়ে।

কেননা মাটি তো বৃষ্টি প্রার্থনা করে সৃজনে ছড়িয়ে যাবে সে বিছনে।

আমি বলি, বৃষ্টিতে ভিজবে? ওই দেখো বৃষ্টি, শুধু ভেজায় না কাঁদায়।

জলস্রোতে কার ঘর ভেসে যায়,ভেসে যায় শূন্য ভাতের হাঁড়ি!

মনসৃজা কাছ থেকে মাথা নিচু করে দূরে সরে যায়…