অবতক খবর,৮ নভেম্বরঃ গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকা লটারি জেতার রহস্যভেদ করতে গিয়ে সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই সূত্রে দাবি, আরও তিনটি লটারির টাকার হদিশ পাওয়া গেছে। অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’বার লটারির টাকা ঢুকেছে বলেও জানা যাচ্ছে, যার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা।

এ ছাড়াও, ২০১৯ সালে অনুব্রত মন্ডলের একটি অ্যাকাউন্ট লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। বারবার একই পরিবার লটারি পাচ্ছে, তাহলে কী এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে? আরও কোনও লটারি অনুব্রতর আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের নামে কেনা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

 

এর আগে, গত সপ্তাহে বোলপুরে লটারির দোকানে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই সময় একাধিক লটারির টিকিট বিক্রেতাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তাতে অনুব্রতকে টিকিট বিক্রি করেননি বলেও দাবি করেন এক লটারির টিকিট বিক্রেতা। যদিও অনুব্রত মণ্ডল ১ কোটি টাকার লটারি জেতেন বলে সকলেই জানেন। গরুপাচারের তদন্ত নেমে সেই লটারি জেতা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়। অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতে শুরু করেন গোয়েন্দারা।

আর তাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুব্রতর ১ কোটি টাকা জেতার বিষয়টি যেমন সামনে এসেছে। তেমনই তাঁর কন্যা সুকন্যার অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা ঢোকে। এক বার ঢোকে ২৫ লক্ষ টাকা, আর এক বার ২৬ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ ৫১ লক্ষ টাকা।

পাশাপাশি, সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে লটারির মাধ্যমে ঢোকে ১০ লক্ষ টাকা। তার আগে আরও কখনও অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা ঢোকে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের লোকজন কিভাবে বার বার লটারি জিতছেন! তাহলে কি কালো টাকা সাদা করতেই লটারির আশ্রয় নিয়েছিলেন অনুব্রত! বিষয়টি ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদেরও।