অনলাইনে সেন্সরশিপঃকন্ঠরোধের পাল্টা গড়ো প্রতিরোধ

অবতক খবর, ৯ এপ্রিলঃ অন লাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে রাষ্ট্র অর্থাৎ ক্ষমতাসীন সরকার।

৭ এপ্রিল জানা গেছে নজরদারি সংস্থা গঠিত হতে চলেছে যারা বিচার করবে সরকারবিরুদ্ধ কোন সংবাদ অসত্য বা বিভ্রান্তিকর। অত্যন্ত চুপিসারে সরকার এই কালা নীতি নিয়ে এসেছে।

হিটলারের আমলেও এইভাবেই সংবাদপত্র সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি খড়্গহস্ত হয়েছিল রাষ্ট্র।

ফ্যাসিবাদ কিভাবে আসে তা লেখা আছে ইতিহাসের পাতায়। ইতিহাস না পাঠ করলেও ফ্যাসিবাদ সাধারণ মানুষও খালি চোখে দেখতে পায়, শুধু এটা তার বোধের উপর নির্ভর করে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, কন্ঠরোধ করার প্রচেষ্টা মানুষ প্রকাশ্যে দেখে। মানুষ দেখে ধর্মের নামে নারকীয় উল্লাস– অগ্নিদাহ খুন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সরকারি নৈরাজ্য।

আমরা রাষ্ট্র ঘোষিত জরুরি অবস্থা দেখেছি। তাকে মনোরম ভাষায় অনুশাসন পর্ব বলেছি। রাষ্ট্রীয় কৌশল পাল্টে গিয়েছে। এখন অঘোষিতভাবেও জরুরি অবস্থা নামিয়ে আনা যায় তা দেখাচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন শাসক। ইতিমধ্যে শাসক দলের হুংকারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উড়িষ্যায় চলচ্চিত্র উৎসব, মধ্যপ্রদেশের নাট্যোৎসব। শিক্ষাক্ষেত্রে বাদ পড়ছে মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস। সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে অবৈজ্ঞানিক ধ্যান-ধারণা।

জরুরি অবস্থায় সংবাদ সেন্সর করা হয়েছে, নট টু বি পাবলিশভ সীলমোহর মারা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বাতিল হয়েছেন।

সংবাদপত্র বা মিডিয়া রাষ্ট্রীয় দালাল হয় এটা আমরা জানি। তবে সব সংবাদপত্র কে কী কেনা যায়? নিজের সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নেমে আসছে অথচ দালাল মিডিয়াগুলো তার গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই সংবাদটি যেটা সংবাদপত্রের শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল সেটি কোনো কোনো বিগ মিডিয়ায় গুরুত্বহীনভাবে ভিতরের পৃষ্ঠায় চলে গিয়েছে।

জাতীয় জীবনে যে অরাজকতা নৈরাজ্য নামিয়ে আনা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে জনমত গঠনের দায় ও দায়িত্ব রয়েছে সংবাদপত্রের।