অবতক খবর,১৮ নভেম্বরঃ প্রায় সাড়ে ৬ বছর আগে ইসলামপুর স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু হলেও এখনও তা উদ্বোধন না হওয়ায় স্টেডিয়ামে খেলাধুলা হয়ে উঠতে পারা যাচ্ছে না । খেলাধুলোর অনুশীলনের জন্য ভাল নিজস্ব মাঠ না থাকার কারণে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলায় উৎসাহ হারাচ্ছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে বাইরে থেকে কিছু অসামাজিক তত্ত্ব স্টেডিয়ামে এসে আড্ডা দেয় এবং তাদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ নেশা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্টেডিয়াম চত্বরের আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক মদের বোতলও দেখা যায়।

স্টেডিয়াম চালু হওয়ার আগেই স্টেডিয়ামের বেশ কিছু জানালা কে বা কারা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এর জন্য বিরোধী দল বিজেপি ও সিপিএম প্রশাসন ও সরকারের উপরে দোষারোপ ও দায়ী করছেন ।

তবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও ইসলামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়া লাল আগরওয়াল বলেন এজেন্সি স্টেডিয়ামকে প্রশাসনকে হ্যান্ডওভার করে নেয় তাই দেরি হচ্ছে কিন্তু খুব শীঘ্রই স্টেডিয়াম উদ্বোধনের করা যায় এর জন্য চেষ্টা চলছে ।

এদিকে ইসলামপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক রাজকুমার পাল বলেন, খেলাধুলার বিকাশের জন্য ভাল মাঠের খুবই প্রয়োজন। হাইস্কুল ও কোর্ট খেলার আয়োজন করলেও, ওই মাঠের অবস্থাও ভাল নয়। খেলাধুলার বিকাশের জন্য স্টেডিয়ামের কাজ দ্রুত চালু করার দাবি তোলেন তিনি।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুরের খেলাধুলোর মানোন্নয়নে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য দীর্ঘ এক দশক আগে থেকেই স্থানীয় বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছিল। স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ১৯৯১ সালে চোপড়াঝাড় মৌজার তিস্তাপল্লি সংলগ্ন এলাকাতে জমি অধিগ্রহণ করে প্রশাসন। রায়গঞ্জের তৎকালীন সংসদ সদস্য দীপা দাশমুন্সি কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে তার নির্দেশে এ বিষয়ে আবার উদ্যোগ নেয় ক্রীড়া দপ্তর। এই প্রকল্পের জন্য ৯ কোটি ৫৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৮৯ টাকা বরাদ্দ হয়। ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এক বছরের মধ্যে কাজটি শেষ করার সময় সীমা নির্দিষ্ট করা ছিল। ক্রীড়াপ্রেমীরা বলেন, শহরের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় আগ্রহ রয়েছে, অনেক প্রতিভাও এখানে রয়েছে। কিন্তু খেলাধুলা চর্চার কোনও পরিকাঠামো এখানে নেই।

শহরে খেলার মাঠ বলতে ইসলামপুর হাই স্কুলের মাঠ ও কোর্ট ময়দান। ওই মাঠ দুটিতেই বিভিন্ন সময় সরকারি অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক সভা, মেলা সহ নানান কর্মসূচি চলতে থাকে। খেলাধুলোর অনুশীলনের জন্য ভাল মাঠ না থাকার কারণে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলায় উৎসাহ হারাচ্ছে। ভাল প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের ব্যবস্থা হলে অনেকেই রাজ্য স্তরে খেলার যোগ্য হতে পারবে। কোর্ট মাঠকে খেলার উপযোগী করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই স্টেডিয়ামের প্রায় ৯৫ থেকে ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু করে অ্যাথলেটিকস এর জন্য সুন্দর মাঠ তৈরি হয়েছে।