সৌভিক দত্ত : জলপাইগুড়ি :     উত্তরবঙ্গে অনেক অন্যায় করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইরকম অন্যায় কেউ করেনি। জল্পেশ, জটিলেশ্বর মন্দির প্রনাম করে বক্তব্য শুরু করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন চার দফার ভোট ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। যার মধ্যে ৯২ টি আসনে বিজেপি এগিয়ে আছে। পঞ্চম দফায় আপনারা দয়া করুন, বাংলায় বিজেপি সরকার গড়বে। আপনারা মোদীর নেতৃত্বে সরকার চাইছেন কিনা বলে প্রশ্ন ছূড়ে দেন জনতার সামনে তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে অমিত শাহ বলেন আপনার বিরুদ্ধে বিজেপি লড়ছে না। উত্তরবঙ্গের মানুষ, রাজবংশী সমাজ, চা বলয়, গোর্খা সমাজ আপনার বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছে। বিজেপিকে গালি দিয়ে নিজের শক্তি ক্ষয় করছেন। দিদি এতবার অমিত শাহ নাম বলেছেন, সেই জায়গায় ততবার বাংলার নাম বললে জিতে যেতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, দিদি আমি পকেটে ইস্তফা নিয়ে এসেছি। যেদিন বাংলার লোক চাইবে, সেদিন ইস্তফা দিয়ে দেব। আপনি ইস্তফা তৈরি রাখুন। ২ তারিখ বেলা ২ টার সময় রাজ্যপাল ভবনে দিতে হবে।

শীতলখুচি কান্ড নিয়ে শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকজন কে বলেছেন ঘিরে ধরতে, ভাষনে উস্কানি না দিলে চারজনের মৃত্যু হত না।চারজন যুবকের মৃত্যুর জন্য দায়ী দিদি। চারজনের জন্য দিদি কান্না করছেন। কিন্তু আরেকজন মৃত আনন্দ বর্মনের জন্য কিছু বলছেন না কারন সে রাজবংশী ছিল। আনন্দ বর্মনের জন্য চোখে জল আসছে না কেন। মৃত্যুতে রাজনীতি করছেন দিদি। অনুপ্রবেশ সমস্যার সমাধান একমাত্র বিজেপি জানে। ২ তারিখ বিদায় নিশ্চিত দিদির। মঞ্চ থেকে তিনি আরো বলেন সি এ এ লাগু করে মতুয়া দের ভারতের নাগরিকত্ব দেব।

কিষানদের জন্য ১৮ হাজার টাকা মদীজি দিয়েছেন, দিদি দিল্লীতে নাম পাঠায় নি। বিষ্ণুকে জিতিয়ে দিলে ২ তারিখের পর ৫ তারিখে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। ২ তারিখ পরিবর্তন করে দিলে ৫ তারিখ থেকে বাড়িতে অসুস্থ লোকেদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার দায়িত্ব নেবেন মোদীজি।উত্তর বাংলায় এইমস হবে,আই টি পার্ক হবে। রাজবংশী নারায়নী সেনা স্মৃতিতে নারায়নী ব্যাটেলিয়ান হবে। চিলা রায়ের স্মৃতিতে ট্রেনিং ক্যাম্প হবে। বাগডোগরা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট হবে। শিলিগুড়ির তে মেট্রো রেল চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হবে,সুভাষচন্দ্র বোস রোড হবে যাতে কলকাতা ৩ ঘন্টা য় পৌছাবে। চা পার্ক হবে চা নিরিক্ষনের জন্য।বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য দায়িত্ব নেবে। মহিলাদের গারিতে ভাড়া লাগবে না।ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো জরুরি না, বাংলাকে রোজগারি দেওয়া জরুরি। তৃণমূলের গুন্ডাদের খুজে খুজে বের করে ব্যবস্থা নেবে ২ তারিখের পর।

জনতার উদ্দেশ্যে বলেন ইসবার কই মাই কি লাল কি হিম্মত নেহি আপকো রোক নেকি। সোনার বাংলার নির্মান হবে মোদীজির নেতৃত্বে হবে।রায়কে জিতিয়ে দিন।

এদিন তিনি বেলা ২.৩৫ টা নাগাদ হেলিকপ্টার সভাস্থলে আসেন। এদিন তার সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়, বিজেপি নেতা রথীন বোস, দীপেন প্রামানিক সহ অন্যান্য নেতারা।