অবতক খবর,৮ জুন: লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। তৃণমূল জয়লাভ করেছে এবং বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে অনেকগুলি সিট। কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসা থামার কোন লক্ষণ নেই। আর এই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পরবর্তী হিংসা আমরা প্রত্যক্ষভাবে লক্ষ্য করছি। বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং পরাজিত হয়েছেন পার্থ ভৌমিকের কাছে। তবে তিনি বলছেন,শয়ে শয়ে কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে।

অন্যদিকে জয়ী পার্থ ভৌমিক বলছেন,কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে সেটা আমরা চিহ্নিত করেছি এবং অনেক জায়গায় লোক পাঠিয়েছি এবং কিছু জায়গায় আমি নিজে গিয়েছি। গুন্ডা রাজ চলবে না ব্যারাকপুরে। যারা এই গন্ডগোল করছে দল তাদের পাশে নেই।

তা সত্ত্বেও দেখছি গন্ডগোল চলছেই এবং অনেক কর্মীরাই ঘরছাড়া রয়েছেন। যদি বীজ পুরের কথা আমরা বলি,তবে এখানে দেখা যাচ্ছে কাঁচরাপাড়া মন্ডল ১ এর সভাপতি হীরা মন্ডল তিনি এবং তাঁর সহযোগীরা এখনো ঘর ছাড়া রয়েছেন। তাঁর বাড়িতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হীরা মন্ডল ঠিক করতে পারছেন না যে তিনি কি করবেন। তাঁর মা বাবা স্ত্রী সন্তান বাড়িতে রয়েছেন। তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে ঘর খালি করে দেওয়ার জন্য। তাঁর বাবা সুধীর মন্ডল আক্রান্ত হয়েছেন। অর্জুন সিং তাঁর খোঁজখবর নিয়েছেন।

অন্যদিকে হীরা মন্ডলকে ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি এখন নিখোঁজ। তিনি কোথায় কি অবস্থায় রয়েছেন তা কেউই জানে না। তাঁর বাড়ির লোকজন অনুরোধ করে বলছেন,ভোট আসবে যাবে,নেতা আসবে নেতা যাবে, কিন্তু কেউ কারোর শত্রু নয়। তাঁর পিতা বলেন,আমার ছেলে ঘরছাড়া,আমাকে মার খেতে হয়েছে। উপরন্তু আমাদের ঘর ছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই তো অবস্থা।

সুধীর বাবু বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর কাছে অনুরোধ করেছেন এই বিষয়ে নজর দেওয়ার। তিনি আরো বলেন,২০১৯ সালে হীরা মন্ডল অনেক তৃণমূলের ছেলেকে ঘরে ঢুকিয়েছিল এবং অনেক তৃণমূল কর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছিল। আজ তাঁর বিপদে তিনি কাউকে পাশে পাচ্ছেন না।

আমাদের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে এই বিষয়টির প্রতি নজর দেওয়া হয়। সুধীর বাবুর ছেলে হীরা মন্ডল সহ অন্যান্য যারা ঘরছাড়া রয়েছেন, বিধায়ক উদ্যোগ নিয়ে যাতে তাদের ঘরে ফেরান। কারণ রাজনীতি চলবেই,ভিন্ন মত থাকবেই, কিন্তু সকলেরই পরিবার রয়েছে।