Aabtak Khabar,13 May: রেল অধ্যুষিত শহর কাঁচরাপাড়া। এবার পৌরসভার বকেয়া চেয়ে রেলের কাছে চিঠি দিল পৌরসভা। এই কাঁচরাপাড়া শহরের ৭০ শতাংশ জমি রেলের। তারমধ্যে রেলের ওয়ার্কশপ,স্টেশন,কোয়ার্টার হাসপাতাল ইত্যাদি রয়েছে। আর এই সমস্ত এলাকায় জঞ্জাল সাফাই সহ একাধিক পরিষেবা দেয় পৌরসভা। আর এবার এই সকল কাজের জন্য এই সার্ভিস ট্যাক্স দাবি করেছে পৌরসভা।
১৯৮৩-৮৪ সাল থেকে ২০২৪-২৫ সাল পর্যন্ত ১৪ কোটি ৪১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৪১ টাকা সার্ভিস ট্যাক্সের বিল রেলকে ধরিয়েছে কাঁচরাপাড়া পৌরসভা।
চেয়ারম্যান কমল অধিকারী সার্ভিস ট্যাক্স চেয়ে গত ২২শে জুলাই শিয়ালদা ডিআরএমকে চিঠি পাঠিয়েছেন এবং তার প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। পাশাপাশি এই চিঠিতে পৌরসভার আর্থিক সমস্যার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
তার জবাবে গত ১৬ই আগস্ট রেলের পক্ষ থেকে পৌরসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে একটি ফ্রেশ বিল চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে উল্লেখ করতে বলা হয় ওয়ার্ড এবং প্রিমিসেস-এর নম্বর ও রাস্তার নাম। এই চিঠির উত্তরে গত ৪ অক্টোবর রেলকে চিঠি দিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী জানান,রেলের যেসব সম্পত্তির জন্য সার্ভিস ট্যাক্স চাওয়া হয়েছে তা পৌর এলাকার অন্তর্গত।
যেমন কাঁচরাপাড়া রেল ওয়ার্কশপ (লোকো এবং ক্যারেজ) হাসপাতাল,কোয়াটার স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম বোস ইনস্টিটিউট, কাজী নজরুল ইনস্টিটিউট, রেল ইনস্টিটিউট ইত্যাদি। পৌরসভার ১,২,৩,২২ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এগুলির জন্য সার্ভিস চার্জ যাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি সম্পত্তি থেকে সার্ভিস চার্জ দাবির জন্য সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ের উল্লেখ করা হয়। ২০০৯ সালে রাজকোট মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফে দায়ের করা মামলায় শীর্ষ আদালত ওই রায় দেয়।
এই ব্যাপারে চেয়ারম্যান কমল অধিকারী বলেন, পৌরসভার জায়গা মাত্র 30%, বাকি পুরোটাই রেলের অধীনে। ফলে পৌরসভার সম্পত্তি কর আদায়ের পরিমাণ খুব কম। এইজন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা আমরা পাই না। তাই রেলের কাছে সার্ভিস ট্যাক্স চাওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে অল্প কিছু টাকা একবারই পাওয়া গিয়েছিল। তারপরে আর কোন টাকা পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি রেল যে দিতে পারবে না সেটিও আমাদের জানিয়ে দিয়েছে।ফলত রেলের পড়ে থাকা জায়গা লিজে নিতে চেয়েছে পৌরসভা। সেখানে আমরা উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারি। তা নিয়ে কোন হেলদোল নেই রেলের।
চিঠি পাল্টা চিঠি হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কানাকড়ি পাওয়া যায়নি রেলের কাছে। পৌরসভার প্রাপ্য জমেছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ দপ্তরের তরফে, দীপ্তিময় দত্ত বলেছেন এগুলো রেলের দীর্ঘদিনের স্থাপনা, স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধেই তৈরি হয়েছে। পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের, প্যাসেঞ্জাররা সেখান থেকেই আসা-যাওয়া করেন। রেলের পক্ষে এই ধরনের কোনো সার্ভিস ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন গাইডলাইন নেই।