কার দেশ? দেশ কার? প্রশ্ন তুলেছিলেন সুপরিচিত অভিনেতা নাসিরুদ্দিন। দেখুন লেখাটি কী বলতে চাইছে
হ্যান্ডস্ আপ
তমাল সাহা
হ্যান্ডস্ আপ বললে
সবাই কি হাত তোলে?
যে তোলে না তাকে
শিরদাঁড়া সোজা
হিম্মতদার বলে।
মাথাউঁচু
নাসিরুদ্দিন মোল্লা!
নির্ভয় তিনি, তবুও
চেপে আছে আতঙ্ক।
সোচ্চার তিনি—
খুল্লামখুল্লা।
তাপমোচী এই দেশে
একটি মানুষের জীবনের চেয়ে
একটি গরুর দাম বেশি!
সেই দেশে মানুষের পক্ষে
দাঁড়ালেই তুমি ধর্ম-বিদ্বেষী?
দেশকে ভালোবাসি বলেই
দেশকে নিয়ে আমার উদ্বেগ।
দেশ চালাবে মানুষ,
সভ্যতা গড়বে মানুষ,
এটাই তো রথচক্রের বেগ।
ধর্ম রথযাত্রা চলছে চলুক,
রথের দাপটে
মানুষ কেন পড়বে চাপা?
আমার তো
হারানোর কিছু নেই
আছে শুধু প্রাণটুকু
আমি ছাপোষা মানুষ—
এক ক্ষ্যাপা।
কে না চায় তার প্রিয়
প্রজন্মের ভালো?
সে অন্ধকারের জীব
যে চায় না সূর্যস্নাত আলো।
আমি হিন্দু না মুসলিম
না জৈন না খ্রীষ্টান
সেকথা কি অনেক বড়?
আমি মানুষ—
দেশ আমার ভারতবর্ষ
সোচ্চারে বলছি আমি
কারা ভয়ে জড়োসড়ো?
দেশ তো আমার ছিল একটাই
ক্ষমতা! ক্ষমতা! ক্ষমতা!
কার স্বার্থে ভেঙে হল দুইখান?
টিকিট তো দূরের কথা
রে শাসক,
দেখি তুই কত বড় মস্তান!
বন্দুক ঠেকালেও ছাড়বো না প্রিয় মাতৃভূমি— জন্মস্থান।
দেশপ্রেম আমাকে শেখাও?
উঁচিয়ে রেখেছো ভয়ের সঙিন।
চুপ থাকা মহাপাপ এখন—
বলছি আমি,শাহ নাসিরুদ্দিন।
হ্যান্ডস আপ মানে
হাত তোলা নয়—
বজ্রমুষ্ঠি উচ্চেতোলা হাত।
এসো, তুমি থাকলে পাশে
দুরন্ত দুর্বার দুর্জয় আমি
কেটে যাবেই এই দুঃসহ রাত।