অবতক খবর,৫ জুলাই : আজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিজেপি এবং তৃণমূল দলের কর্মীরা পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘটনায় প্রকাশ আজ ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং বলদেঘাটা অঞ্চলে আর এক বিজেপি নেতা রাজা দত্তের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সেই সময়ে বিজেপি কর্মীরা অঞ্চলের দুই তৃণমূল কর্মীর উপর আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। প্রথমে বচসা, তারপরই সেটা সংঘর্ষের রূপ ধারণ করে। ঘটনার তীব্রতা এমনই বাড়তে থাকে যে ওই অঞ্চলে তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের বাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে চারটি বাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অন্যদিকে ঘটনা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। সেই সময়ে সাংসদ অর্জুন সিং-এর গাড়ির উপরও হামলা চালানো হয় এবং রেশন অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাক্তন কাউন্সিলর রাজু সাহানির গাড়ির উপর আক্রমণ চলে এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক সুবোধ অধিকারীর নেতৃত্বে একটি মিছিল মঙ্গলদীপ থেকে কোনা মোড় পর্যন্ত পরিচালিত হয়। সেই সময় মিছিলের ওপর বোমা এবং গুলি চলে বলে অভিযোগ। ঘটনায় জানা গেছে বোমা বিস্ফোরণে এক তৃণমূল কর্মীর পা জখম হয়েছে,এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। অবস্থা এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে শেষপর্যন্ত অঞ্চলে র্্যাফ নামাতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
পরিস্থিতি বুঝে ঘটনাস্থল থেকে সংসদ অর্জুন সিং-কে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। অবস্থা এখন নিয়ন্ত্রণে, র্্যাফের টহল চলছে।
ঘটনায় জানা গেছে,এই ঘটনায় অর্জুন সিং-এর দুটি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বলদেঘাটার একটি পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক সুবোধ অধিকারী জানান,আজ নৈহাটিতে বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের উপস্থিতিতে বহু বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। সেখানে আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে আমার গাড়ির ওপর হামলা চালানো হয়। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। একজন গুন্ডা এমপির কাছে তো এটাই কাম্য। এখন তার তোলাবাজি বন্ধ হয়ে গেছে, মানুষ তার পাশে নেই। তাই তিনি প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছাকৃতভাবে দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন।