অবতক খবর,১৩ মে: সকাল থেকেই বুথ পরিদর্শনে রয়েছেন এসডিপিআই-এর বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রুনা লাইলা, দুপুর নাগাদ নওদা বিধানসভার ত্রিমোহনীতে থাকা অবস্থায় খবর পান বহরমপুর বিধানসভার গুরুদাসপুর অঞ্চলের ২৬৪ নাম্বার বুথে তৃণমূলের এজেন্ট বসে আছে এসডিপিআই-এর নামে, যার ফলে গ্রামের মানুষের মুখে মুখে এসডিপিআই কে তৃণমূলের দালাল উপাধি দেওয়া শুরু হয় তড়িঘড়ি এসডিপিআই প্রার্থী রুনা লাইলা বুথে পৌঁছান।

বুথে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করেন রুনা লাইলা, খুঁজে পান তৃণমূলের ভুয়ো এজেন্ট, যার কোনো তথ্য না নিয়েই ভেতরে বসিয়ে রেখেছেন প্রিসাইডিং অফিসার। অফিসারকে এজেন্ট সম্পর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন রুনা লাইলা সেই মুহূর্তে হাতেনাতে ধরা পড়ে তৃণমূলের ভুয়ো এজেন্ট, হাজির হন দৌলতাবাদ ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দীপক হালদার এবং কেন্দ্র বাহিনী। ঘটনার তল্লাশি করে প্রিসাইডিং অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রিসাইডিং অফিসার ভুল স্বীকার করেন, ক্ষমা চান। দীর্ঘক্ষণ পোলিং বন্ধ থাকায় সেন্ট্রাল বাহিনী হাজির হন ইতিমধ্যেই ভুয়ো এজেন্ট সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পোলিং শুরু হয়।

এসডিপিআই-এর নামে মিথ্যা অভিযোগ লাগিয়ে বদনাম করে থাকা তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মূর্তুজ সেখ স্বীকার করেন ভুল করে এসডিপিআই-এর বদনাম হয়েছে, সেখানে এস.ডি.পি.আই.-এর নামে কোন এজেন্ট ছিল না।

এভাবে পার্টিকে বদনাম করার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন রুনা লাইলা, তিনি বলেন আমি এখানে ঝামেলা করতে আসিনি তবে আমার দলের কেউ বদনাম করবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে না, এছাড়াও প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচ করার অনুরোধ জানান দলের দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি মাসুদুল ইসলাম।