অবতক খবর,২৮ মার্চ: হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর তৃণমূলের আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। উল্লেখ্য চলতি সপ্তাহে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামে শাসকদলের পঞ্চায়েত মেম্বার তথা বিরোধী দলনেত্রী মন্দিরা দাস ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকার বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ ওঠে।যদিও তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির কয়েক নেতা তৃণমুল নেতা পুজন দাসকে আক্রমণ করেন।বিজেপির দাবি ভিত্তিহীন বলে জানান তৃণমূল নেতৃতরা।
এদিন বিজেপি কর্মীদের হামলার প্রতিবাদে কয়েকশো বিজেপি কর্মী দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান।যদিও পুলিশি নিরাপত্তা থাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিন বিক্ষোভ স্থলে খগেন মুর্মু অভিযোগ তোলেন এলাকার পঞ্চায়েত মেম্বারের স্বামী পূজন দাসের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা সাহেব দাস, দুর্জয় দাস সহ আরো অনেকেই পিপল কাশিমপুর এলাকায় বিগত দুই দিন ধরে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলার জেরে এলাকার বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মীর বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে, চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। আজ এরই প্রতিবাদে আমরা থানা ঘেরাও করলাম। সামনে লোকসভা নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা চাইছে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে।বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল গুন্ডা বাহিনীর হাতে মাঝে মাঝে এইভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। অবিলম্বে এদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হব।
এদিকে এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১এ ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান জানান, ওরা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। বিজেপি কর্মীরাই আমাদের কর্মীর বাড়িতে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। ওই গ্রামে বিগত ১০ বছর ধরে তৃণমূল জয় লাভ করছে। এখন সামনে ভোট বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে তাই এই সমস্ত অভিযোগ করছে। আমরা ওদের বেশ কয়েকজন কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ করেছি তাই ওরা এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। এদিকে আজ সকালে বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন পিপলা কাশিমপুর এলাকার বেশ কয়েকজন মহিলা। তাদের দাবি এলাকার বিজেপির কর্মীরা, ক্রমাগত হিংসা এবং বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এলাকায়। অবিলম্বে এর বিহিত না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন তারা।