আমার বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র

স্মৃতি
তমাল সাহা

সাধারণ সৈনিক মঙ্গল পান্ডের ফাঁসির দড়ি এখনো ঝুলছে ব্যারাকের সেই গাছে
রাষ্ট্রগুরু তাকিয়ে আছেন জলস্ফীত নদীটির কাছে।

শ্যামনগর থানা গারদে নেতাজিকে দেখি
নৈহাটিতে পড়ে আছে নজরুলের পায়ের ছাপ
বঙ্কিমচন্দ্র লিখে চলেন আনন্দমঠের সংলাপ।

মহেন্দ্র হাই স্কুল—
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রবীন্দ্রনাথ একসাথে
চিত্তপ্রসাদের হাতে তুলি, আঁকছেন চলমান দুর্ভিক্ষের ছবি
সমরেশ বিটি রোডের ধারে জগদ্দল গঙ্গা শেকল ছেঁড়া হাতের খোঁজে দুর্জয় কলম হাতে এক নবী।
ব্যারিস্টার হয়ে ভালই তো কাটাচ্ছিলে জীবন
অনুশীলন সমিতি গড়ার কি ছিল দরকার?
অস্ত্রবিদ্যার কোচিং সেন্টার খুলে ফেলেন
আগুনখোর পি এন মিত্র চেতাবনি হিম্মতদার!

হালিশহরে রামপ্রসাদ জীবনের বেড়া বাঁধে
লিখে চলে তবিলদারি মানব জমিন
আজু গোঁসাইয়ের থেকে শিখি
বাঙালির ঐতিহ্য ধারাবাহিকতা পুরাকালীন।

নিমাই কী ব্যারাকপুর অঞ্চল ছাড়তে পারে!
সেও চৈতন্য হয়ে চৈতন্যডোবা কাঞ্চনপল্লীতে আসে
এ সৌভাগ্য বরাত শুধু আমাদের তরে!
ঈশ্বরপুরী পাটের আকাশে চাঁদ গোলাকার হয়ে ভাসে।

শিবের গলিতে পিস্তল হাতে বিপিন গাঙ্গুলী দাঁড়িয়ে এক অগ্নিহোত্রী প্রবীণ।
মান্দালয় জেল থেকে ফিরে নেতাজি কথা বলে যায় ক্রেগ পার্কে
বারাকপুরের জলস্রোত লিখে রাখে এত কথা
তবুও কী হয়েছে মুক্ত স্বাধীন!

কাঁচরাপাড়া তোকে সেলাম
ঈশ্বর গুপ্ত গান্ধীজি স্বামীজি নজরুলকে পেলাম
বিশাল সাংস্কৃতিক বিপ্লবের আয়োজন
গোলাম কুদ্দুস মানিক বাড়ুজ্যে ননী ভৌমিক দীপেন্দ্রনাথ কত সব পদার্পণ!
এসবই আমাদের উত্তরাধিকার অর্জন।

রাজনীতি!
বসন্তকুমারীকে জানো, নারীত্বের দার্ঢ্য মহিমা?
তোমার পাললিক জমি সৃজনের এক মহিমা।
বারাকপুরে লড়াকু সব প্রার্থী সুধারায় মোহাম্মদ ইসমাইল রেণু চক্রবর্তী ভবানী সেনগুপ্ত বিজয় মোদক— ভাবো আশ্চর্য সেসব নাম
এখন মহাভারত কলঙ্কিত, জনক জননীর লজ্জা প্রার্থীদের এইসব বিশাল পরিচয়
তারা কেউই আসলে দ্রোণাচার্যের শিষ্য তীরন্দাজ নয়, তোলাবাজ কামাইবাজ হিসেবে দেদার সুনাম!

ভোটকে প্রণাম জানাই ভোটের জন্যই আমার এইসব পুরানো স্মৃতির জাগরণ।
জাগরণ শব্দটির ভেতর
আমি শুধু খুঁজে পাই একটি শব্দের অনুরণন
আমার পাশে থাকো হে প্রিয়জন
রণ! রণ! আর শুধু রণ!