আজ চে গেভারার জন্মদিন।আজ বিশ্ব রক্তদান দিবস। চে গেভারা কিভাবে রক্তদান করেছিলেন
সে এক মহা মৃত্যূঞ্জয়ী উৎসব!
তাঁর প্রতি আমার অরুণাভ প্রণাম

স্মরণ গাথা
তমাল সাহা

দুনিয়ার একমাত্র মানুষ তুমি
যার জন্মদিনেই শুধু মৃত্যুগাথা
লেখা যায়,
নয় কোনো এপিটাফ বা শোকগাথা।
কারণ তোমার মৃত্যুই
শোষণ মুক্তির পথ দেখায়।

তুমি মৃত্যুকেই ভালোবাসতে এসেছিলে
কার সঙ্গে তোমার ভালোবাসা গড়ে উঠেছিল তা আমরা জানি
আর শত্রুকেও ভালোমতো চিনতে
এও আমরা জানি।

আমরা ত্রিকোণ প্রেমে পড়েছিলাম
কারণ তুমি যাকে ভালোবাসো
আমরাও তাকেই ভালোবাসতুম
আসলে তুমিই আমাদের তাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছিলে।

গেভারা এক অদ্ভুত শব্দ
উচ্চারণেই শিহরণের ঐশ্বর্য
অন‍্যায়ের বিরুদ্ধ স্বর ছিলে তুমি,
দ‍্য ফ‍্যুসের–
বিধ্বংসী বারুদ-ঝলক।

অরণ‍্যের দিনরাত্রি কাঁপিয়ে
বধ‍্যভূমিতে যখন প্রথম বুলেটটি কপাল ফুঁড়ে বেরিয়ে গেল
কপালে হাত দিয়ে রক্ত মুছলে তুমি
দ্বিতীয় গুলিটা যখন কন্ঠ ফুঁড়ে বেরিয়ে গেল তখন প্রলম্বিত শ্বাস নিলে তুমি
আর তৃতীয় গুলিটা বুক ভেদ করতেই
বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক বলে যেই
মাটি আঁকড়ে ধরলে
হাজার হাজার রক্তিম বুনো ফুল ঝরে
পড়তে লাগলো
তোমার মাথার উপরে আকাশছোঁয়া বৃক্ষ শীর্ষ থেকে।

তোমার ঐ উড়ন্ত ঝাঁকড়া চুল
এলোমেলো দাড়ির বিন‍্যাস
আর ঐ দুই নীল চোখে
ভালোবাসাকে আকঁড়ে ধরার
উজ্জ্বলতা–
আজও মনে করিয়ে দেয় তামাক বাগানে খেতমজুর
বন্দরের খালাসি জীবন আর
স্বপ্নের অগ্নিশিখা নামে নারীটির কথা।

বন্দুক কার হাতে খুন
বন্দুক কার হাতে নির্মাণ
কমরেড!
তুমিই শিখিয়েছ আমাদের
বিপ্লবের গান।