অবতক খবর,১৪ জানুয়ারি,অয়ন চ্যাটার্জী: ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ভারতের জড়িয়ে আছে অগণিত ইতিহাস , এবং তার পাশাপাশি বাংলাদেশের মাটি ও পদ্মা নদীর ছোঁয়া দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা সহ নানান কবির কবিতায় । দেশ ভাগ হলেও বাংলাদেশের মানুষদের সঙ্গে ভারতবাসীর মনের মিল বরাবরই ছিল অটুট। বর্তমান ২০২৫ সালে সেই সোনার বাংলাকে চোখের সামনে ভাঙতে দেখছে বিশ্ববাসী এবং এর কারণ একটাই “ধর্মের লড়াই”।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পূর্বে অর্থাৎ ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ বার্ষিক অধিবেশনে, লাহোর অধিবেশনে মুসলিমদের জন্য আলাদা রাজ্য গঠন করার জন্য দাবি করেন মুসলিমরা । এই দাবি শুনে অ্যাডমিরাল লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন ঘোষণা করেন দেশ ভাগ করার কথা মুসলিমদের জন্য, তারপর ১৯৪৭ সালে মুসলমানদের জন্য ভারতের কিছু অংশ দু ভাগে ভাগ করা হয় যার আরেক নাম পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান। এই সংবাদটি শুরুতে রেডিওর মাধ্যমে প্রচারিত হয়। দেশ ভাগ হবার পাশাপাশি ভারত সরকার জওহরলাল নেহেরু কে ৭০ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি জানালেন পাকিস্তান সরকার, তখন ভারতের পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল । দেশ ভাগ হওয়ার কারণে সেই সময় প্রায় অনেক দেশবাসী গৃহহীন ছিল তাই তাদেরকে দেখার জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল ভারতের, তাই পাকিস্তানকে ২০ কোটি টাকা ভারতের তরফ থেকে দেওয়া হয়। এই খবরটি গান্ধীজীর কানে পৌঁছতে তিনি পাকিস্তান বাসীদের জন্য আন্দোলনে বসে ,তারপর বাকি ৫০ কোটি টাকা ভারত পাকিস্তান কে দিতে বাধ্য হয়।

সেই সময়ের শুরুতে ভারতের একটাই বল শুধু “একতা” এবং পাকিস্তান আর ভারতের মধ্যে লড়াই ছিল একটাই “জায়গা ও জমির লড়াই” কারণ তখনো পাকিস্তানের জায়গা কতটা সেটা ধার্য করা হয়নি । একজন ব্রিটিশ উকিল সিরিল র‌্যাডক্লিফ দাঁড়া, দেশটিকে অবশেষে ভাগ করা হয় তারপরেই রক্তবর্ণা শুরু!!! তখন লড়াই আর জায়গা ও জমির ছিল না লড়াই হয়ে উঠেছিল হিন্দু এবং মুসলিমের লড়াই অর্থাৎ জাতী ও ধর্মের লড়াই। একদিকে দেশবাসীর ভারতবর্ষের স্বাধীনতার আনন্দ তার পাশাপাশি হিন্দুদের উপর হওয়া হত্যার শোক । দেশ ছাড়ার জন্য ভারত থেকে পাকিস্তানের ট্রেনে একদিকে যাত্রীদের ভিড়ের ঢোল, তেমনি ট্রেনের ভেতরে হিন্দুদের মৃত নগ্ন লাশ।

পাকিস্তানে থাকা হিন্দু মন্দিরকে সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস করার লক্ষ্য ছিল দুষ্কৃতীদের, তারপর ভারত ও ব্রিটিশ শাসকদের চাপে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান সভায় ঘোষণা করতে বাধ্য হন হিন্দুদের মন্দির কে ধ্বংস না করার কথা। স্বাধীনতার পূর্বে পাকিস্তানে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩ শতাংশ এবং পাকিস্তানে থাকা হিন্দুদের অত্যাচারিত করায় বর্তমানে পাকিস্তানে হিন্দুদের সংখ্যা হয়ে উঠেছে মাত্র দুই শতাংশ।

শুধু তাই নয় পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে পূর্ব পাকিস্তানে তুলনামূলক বাঙালির সংখ্যা ছিল অধিক এবং মন্ত্রী ছিল শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাবনা সম্পূর্ণরূপে ছিল আলাদা এবং তিনি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একতায় বিশ্বাসী ছিলেন । ১৯৪৭ সালে পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (Pakistan Peoples Party) যার নেতৃত্বে ছিলেন জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং পূর্ব পাকিস্তানের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (Bangladesh Awami League) যার নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

শেখ মুজিবুর রহমান দেশবাসীর কথা ভেবে পূর্ব পাকিস্তানের মুদ্রা, সৈন্য এবং পূর্ব পাকিস্তানের নাম পাল্টে দেবার প্রস্তাব রাখলেন পশ্চিম পাকিস্তানের মন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর কাছে, এর ফলে শেখ মুজিবুর রহমন ও তার সহকর্মী চারজন সহ জেলবন্দী করালেন জুলফিকার আলী ভুট্টো। এই খবর পূর্ব পাকিস্তানের সকল দেশবাসীর কানে পৌঁছানোর পর শুরু হয় বিরাট বড় আন্দোলন তখন সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ অনেকেই শেখ মুজিবর রহমানের উপর থেকে মিথ্যে মামলা তোলার দাবি জানান এর ফলে পশ্চিম পাকিস্তানের মন্ত্রী মজিবর রহমানকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।

তার পাশাপাশি পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছিলেন দেশের একতা বজায় রাখতে হলে দেশের ভাষা একটি হবে সেটা হল “উর্দু”এবং তিনি পূর্ব পাকিস্তানের সভাতেও এই বক্তব্য রাখেন কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষ ছিলেন বাঙালি এবং বাঙালি মুসলিম তাদের কাছে এই ভাষাটি অজানা তাই এই বক্তব্যকে ভিত্তি করে পূর্ব পাকিস্তানের আন্দোলন শুরু হয় এবং এর পাশাপাশি পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে বিমানে একাধিক সৈন্যদের ছদ্মবেশে পূর্ব পাকিস্তানে পাঠানো হয় ,তার পাশাপাশি সেই সময় আর এক মুসলিম সংগঠনের সৃষ্টি হয় যার নাম “জিহাদি মুসলিম” অর্থাৎ তারা শুধু হিন্দু ধর্মের মানুষদেরই হত্যা করা তাদের উদ্দেশ্য। একদিকে সৈন্যের আক্রমণ আরেকদিকে জেহাদে মুসলিমের অত্যাচার তখনও পূর্ব পাকিস্তানের জনগণদের মধ্যে বেশিরভাগ অত্যাচারিত হয় হিন্দু ধর্মের মানুষেরা এবং সেই জেহাদী মুসলিম অথবা আতংবাদীরা হিন্দুদের ঘরের ঢুকে তাদের মেয়েদের উপর শারীরিক নির্যাতন করতো ,তখনকার সময় হিন্দুরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয় এবং তার জন্য তারা লুকিয়ে বর্ডার পার করে বেশিরভাগই পশ্চিমবাংলা অঞ্চলে প্রবেশ করে নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। সেই সময় পূর্ব পাকিস্তানের এর পাশে দাঁড়িয়ে ছিল শুধু একটি দেশ ভারত বর্ষ ।

১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের কথা মাথায় রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান স্যাম মানিক সাওয়াবের সঙ্গে বৈঠকে বসে এবং সেই সময় গোপনে পূর্ব পাকিস্তানের গড়ে উঠছিল মুক্তিবাহিনী সেনা তার পাশাপাশি মুক্তিবাহিনী সেনাকে গোপনে গঠন করছিল ভারতীয় সেনা। পশ্চিম পাকিস্তানে সেই খবর পৌঁছাতেই সরকার দ্বারা অপারেশন জেনোসাইট চালু করে এর অর্থ যে ব্যক্তি পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার দাবি জানাবে তাদেরকে খুঁজে সেখানেই হত্যা করা হলো এই অপারেশনের মূল লক্ষ্য এবং সেই সময় শেখ মুজিবুর রহমানকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে জেলবন্দি করা হয় তবে তার আগে শেখ মুজিবুর রহমান ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে স্বাধীনতার বার্তা ঘোষণা করে দেয় । শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন “এবার থেকে আমরা আর পাকিস্তানের অংশ নয় ,এবার থেকে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ” এই কথাটি ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে পৌঁছাতে প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লেগেছিল তারপর থেকে ২৬ মার্চ ১৯৭১ বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় এবং স্বাধীনতার পর অর্থাৎ ২৭ মার্চে মেজর জিয়াউর রহমান জনগণের সামনে ঘোষণা করলেন বাংলাদেশ এবার থেকে স্বাধীন দেশ ।

সেই সময় পশ্চিম পাকিস্তানের গুপ্ত সৈন্যরা অপারেশন সার্চলাইটে তিন হাজার ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের হত্যা করা হয়,তার পাশাপাশি প্রায় ৩০ হাজারের অধিক বাঙ্গালীদের গণহত্যা করা হয়। বাংলাদেশের ঢাকার মানুষেরা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হতো এবং প্রায় ১ কোটির অধিক বাঙালি বাংলায় গোপনে প্রবেশ করে।

পাকিস্তানী সাংবাদিক এন্টনি মাসকারেনহাস ইউকেতে চলে যায় এবং তিনি পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে যা দেখেছিল ও শুনেছিল সেটি ১৩ ই জুন ৯৯৭১ এ তার লেখা দ্য সানডে টাইমস নামক পত্রিকায় প্রকাশিত করে এবং সেই পত্রিকার মাধ্যমে গোটা বিশ্ব জানতে পারেন বাংলাদেশে তখন কি চলছে। সেই পত্রিকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হাতে আসে এবং সেখান থেকে তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে স্যাম মালিকসহকে যুদ্ধের জন্য এবার প্রস্তুতি নিতে বলে।

শ্যাম মানিক সাহেবের কথামতো প্রতিরক্ষা করার জন্য কিছু সৈন্য পশ্চিম পাকিস্তানের দিকে পাঠানো হয় এবং দুষ্কৃতিদের হাত থেকে বাংলাদেশীদের বাঁচানোর জন্য বাকি সৈন্যদের দুষ্কৃতীদের দিকে আক্রমণ করার জন্য তৈরি রাখে শুধু তাই নয় বাংলাদেশে ঢাকার মানুষদেরকে সুরক্ষা দেবার জন্য এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সৈন্যদের ধরার জন্য মুক্তিবাহিনীদের পাঠানো হয়।

৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান “অপারেশন চেঙ্গিস খান” চালু করে অর্থাৎ পশ্চিম পাকিস্তান ভারতে আক্রমণ করা শুরু করে এবং সেই যুদ্ধ প্রায় ১৩ দিন চলে এবং ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যুদ্ধের শেষে হয় এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ নিয়াজীর আদেশে প্রায় ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য ভারতীয় সৈন্যর কাছে আত্মসমর্পণ করে ,যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণ বলে মনে করা হয় এবং এতে পাকিস্তানের নাম গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ধার্য হয়। পাকিস্তানের থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা হয় এবং বাংলাদেশকে ভারতের দ্বারা সম্পূর্ণ রূপে মুক্ত দেশ বানানো হয় এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “আমার সোনার বাংলা” গানটি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ধার্য করা হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঠিক চার বছর পর ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে রাত্রেবেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারকে খুন করা হয়, এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা তখন বেঁচে যায় কারণ তারা জার্মানিতে ছিল। পিতার চলে যাবার অনেক বছর পর শেখ হাসিনা জুন ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের হাল ধরলেন অর্থাৎ শেখ হাসিনা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর পদে নির্বাচিত হয়।

১৯৯৫ থেকে ২০২৪ সাল অব্দি তার প্রধানমন্ত্রী আসন সে ধরে রাখতে সক্ষম ছিলনা কারণ শেখ হাসিনা থাকাকালীন বাংলাদেশী হিন্দুদেরকে প্রতি মুহূর্তে অত্যাচারিত হতে হয় এই নিয়ে হয়েছিল অনেক আন্দোলন কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি বাংলাদেশি হিন্দুদের। প্রত্যেক বছরের দুর্গাপুজো আসার আগে মায়ের প্রতিমা ভেঙে দেওয়া ও মন্দিরে গোমাংস ফেলে আসা হয়ে উঠেছিল সাধারণ ব্যাপার কারণ এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশী আইন ও সরকার বাংলাদেশী হিন্দুদের পাশে ছিল না।

তারপর ২০২৪ সালের জুন মাসে শুরু হয় সরকারি চাকরির কোটা নিয়ে বাংলাদেশি সকল ছাত্রদের আন্দোলন দাবি একটাই সরকারি চাকরি কোটা বাড়ানোর । এই নিয়ে অনেক ছাত্রদের বাংলাদেশী পুলিশ এনকাউন্টার করে ফলে গোটা দেশবাসী আন্দোলনে যোগদান দেয় এবং আরো গর্জে ওঠে ছাত্র সমাজ তখন দাবি আর সরকারি চাকরির কোটা নয়, তখন গোটা দেশবাসীর দাবি হয়ে উঠেছিল শেখ হাসিনার পদত্যাগ এই নিয়ে বাংলাদেশে বিরাট বড় আন্দোলন এর ফলে শেখ হাসিনা পদত্যাগ দিয়ে দেশ ছেড়ে পালায় তার কিছুক্ষণ পর আন্দোলনকারীদের দ্বারা শেখ হাসিনার ঘরবাড়ি দখল করে ধ্বংস করে দেওয়া হয় আন্দোলনের আগুন আর বাড়তে থাকে এবং লড়াইটি হয়ে ওঠে হিন্দু এবং মুসলিমের ।

এ লড়াইয়ের কারণে জামাতি মুসলিমদের লক্ষ্য ছিল একটাই হিন্দুদের মন্দির ও ঘরবাড়ি ধ্বংস করা । শ্রীলা প্রভুপাত দ্বারা নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সংস্থা ইসকন সেখানে তারা হামলা চালায় এবং ইসকনে থাকা অধিকাংশ ভক্ত আহত হয়। এখানেই থেমে থাকেনি তারা ৫ বছরের হিন্দু শিশুদের জামাতে মুসলিম দ্বারা হতে হয়েছে একাধিকবার ধর্ষিত তারপর খুন, শুধু তাই নয় শেখ হাসিনা চলে যাওয়াতে তার পিতা শেখ মুজিবুর রাহমানের মূর্তি ও স্মৃতিকে ধ্বংস করা হয় এবং যে রবি ঠাকুর আমার সোনার বাংলা গানটি লিখেছিলেন তাকেও ব্যঙ্গ করতে বাদ রাখেননি।

পিউ রিসার্চ সেন্টারে তথ্য অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশী হিন্দুরা ছিল ৮০ শতাংশ, বর্তমানে ২০২৪ এ তা দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশ। তাই বর্তমানে বাংলাদেশি হিন্দুদের অস্তিত্বকে রক্ষা করতে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয় এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস গোপনে জামাতি মুসলিমদের সমর্থন করে এসেছে, ফলে তাদের সঠিক বিচার দেওয়ার কেউ নেই। সকল হিন্দুদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ইসকনের সদস্য চিন্ময় প্রভু ফলে তাকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়ে জেল বন্দি করে বাংলাদেশী আইনজীবীরা । এই নিয়ে বাংলাদেশ সহ গোটা ভারতবর্ষে হিন্দুরা তাকে জেল মুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন চালায় এবং এই বিষয়টিকে নিয়ে রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক কিশালয় মুখার্জি সহ সকল সাংবাদিকেরা গর্জে ওঠে , ফলে তাকে ছাড়তে বাধ্য হয়।

বর্তমানে ইউএস রাষ্ট্রপতি ভরা সভায় সকল সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান বাংলাদেশী হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচার বন্ধ না হলে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীদের ওপর তিনি কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন। এই খবরটি বাংলাদেশে ছড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুতুল বাংলাদেশে জালানো হয় মুসলিম দ্বারা , তার পাশাপাশি ট্রাম্পের সমর্থকদের হতে হয় খুন।

একজন বাংলাদেশী মুসলিম ওসমান মোল্লা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন যার মধ্যে তিনি ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে দাবি করেন এরপরে বাংলাদেশী সকল হিন্দুরা চট্টগ্রামের হাজারী গলি নামক একটি জায়গায় একত্রিত হয়ে সেই ফেসবুক পোস্ট এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন এর ফলে বাংলাদেশী সেনাবাহিনী হিন্দুদের টার্গেট করে এবং হিন্দুদের বাড়িতে ঢুকে তাদের মারধর করেন তার পাশাপাশি যারা হিন্দুদের বুদ্ধিজীবী তাদেরকে গ্রেফতার করে এই নিয়ে চট্টগ্রামে বিরাট বড় আন্দোলন।

এমনকি ডিসেম্বর ২০২৪ সালের শেষের দিকে এসে শুধু হিন্দুরাই নয়, হিন্দুসহ বাকী ধর্মের মানুষদের বাংলাদেশের প্রবেশ করলে হবে ওই একই অবস্থা । শুধু বাংলাদেশ নয়, বর্তমানে ভারতেও ঢুকে গেছে ধর্মের লড়াই। গোটা বিশ্ব অতীতে দেখেছে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বতা, ফলে এই ধর্মের যুদ্ধ পরিনাম হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ।