স্বপ্ন, না আশ্চর্য, না হতবাক করার মতো ঘটনা! মানুষ কি জানে কত ঘটনা ঘটে এইখানে? মানুষ এত জান্তব! এত হিংস্র! মানুষ এত হিংস্রতম পশু! মানুষ বোঝে না, কিন্তু বোঝে যে কোনো পশু-শিশু?
স্বপ্ন
তমাল সাহা
কাল স্বপ্ন দেখলাম।
এমন স্বপ্নের কথা আমি জীবনে কখনও ভাবিনি এবং বুঝেছিলাম এমন স্বপ্ন দেখা সম্ভবও নয়।
কিন্তু মানব সভ্যতার এমন বিকাশ
তাতে এ ভাবনা সম্ভবও হয়।
একটি করভ, তার চোখে ছলছল জল।
এসে বসে আমার পায়ের কাছে,
রাত্রির ঘুম কেড়ে নেয়।
আমি মাথা নীচু করে আছি তার পাশে।
এ কি ভাবা যায়!
আমার তো মাথা হেঁট হয়ে যায়।
করভ বলে, বলো তো! কী দোষ করেছিল আমার মা!
খেতে পায়নি বলেই তো ঢুকেছিল তোমাদের গাঁয়ে, লোকালয়ে।
আমরা তোমাদের ভয় পাই বলেই তো থাকি অরণ্যের গভীরে, এক রহস্যময় আঁধারে।
আমি তখন মায়ের পেটে খলবল করছি।
হয়তো বেরিয়ে আসবো আর কদিন বাদে।
আমার মায়ের তখন ভরা পেট,
কত যে খিদে!
মায়ের আমার খিদে পেয়েছিল খুব।
তোমরা তাকে খেতে দিলে অদ্ভুত!
আনারস!রসে ভরতি ফল
তাতে মিশিয়ে দিলে বারুদ!
তোমরা কি মানুষ!
তোমাদের জন্ম তো আমাদের অনেক পরে!
তোমরা এত হিংস্র হলে কেমন করে?
সভ্যতা তো প্রগতির কথা বলে
সেটা তোমরা ভুলে গেলে?
তোমরা এত হিংস্র হলে কেমন করে?
তোমরা তো হিংস্র পশু নও,
তোমরা তো মানুষ।
খাদ্যের সঙ্গে মিশিয়ে দিলে বারুদ!
মায়ের সঙ্গে আমাকেও মারলে
তোমাদের বিবেক এতো অদ্ভুত!
বিশাল একটি শব্দ ‘মানুষ।’
মান আর যার আছে হুঁশ সেই নাকি মানুষ।
মনে করো তোমার মা,
পেটে আছো তুমি,
তোমাকে করছে লালন
যদি এভাবে কেউ মারতো তাকে
তুমি কি করতে?
ঘটাতে না বিস্ফোরণ?
মানুষ! অদ্ভুত এক শব্দ
তোমরা এত হিংস্র হতে পারো?
মা ও গর্ভজাত সন্তানকে
একসঙ্গেই মারো!
এরপরও কেউ করবে বিশ্বাস
তোমরা পৃথিবীর ভালো চাও!
আয়নায় নিজেদের মুখ
একবার দেখে নাও।









