একটি পুরোনো লিখন

বিনয় মজুমদারকে চেনেন? আরে ঐ যে লোকটা, থাকতেন ঠাকুর নগর স্টেশন লাগোয়া বিনোদিনী কুঠিতে। উদাস অসহায় কবি এক! সেটা ২০১৯ সাল। বর্ষশেষে চুরি গেল তাঁর সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার ও মানপত্র

স্পেশাল চোর
তমাল সাহা

শুনেছো কি
চোরেদের দেশ? এই নামে
কোন দেশ আছে নাকি!

যে দেশে রাজা চোর
রানি চোর
সে দেশে আশ্চর্য কি
চুরির খবর?

এদেশ থেকে তো
কবেই গেছে বিনয় চুরি,
চুরি গেছে সব মূল্যবোধ।
কবিরা শাসকের পাশে
এসব বোঝেনি বিনয়,
এতোটাই ছিল নির্বোধ!

এবার চুরি গেল তার
অ্যাকাডেমি পুরস্কার।
উদাস বিনয় বলেছিল,
এসব চুরি তো হবেই
দরোজা-জানালা ভাঙা
শূন্য ঘর আমার।
চোর জানে এর যথার্থ কদর‌,
জেনেবুঝে নিয়ে গেছে
সম্মান স্মারক
সে-ই তো এর প্রকৃত ধারক।

কবিতীর্থ, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত যামিনীভূষণ, ভারত ভূষণ রবীন্দ্র, সাহিত্য অ্যাকাডেমি— এসব পুরস্কার টুরস্কার নাকি,
তোমরা বলো কী যে!
অনন্য উন্মাদ বিনয় পরভৃতের মতো
এসব কখনো নিতে যায়নি নিজে।

আমার ঈশ্বরীকে—
ঈশ্বরী কোথায়?
ফিরে এসো চাকা—
ঘোরে নিকো চাকা
বাল্মীকির কবিতা—
বল্মীকে কুরে কুরে খায়
ভালোবাসা শুধু ছিল দীন বিপন্নতায়।

পরে লিখেছিল,
কবিতা বুঝিনি আমি—
কবিতার চেয়েও
অ্যাকাডেমি কি খুব দামি!

নিঃশব্দ বিনয় বলেছিল,
দালালি– ওসব সম্মান ও স্বীকৃতি।
কবির মান খোয়া যায়,
ওসব আসলে কবিতার বিকৃতি ।