পূর্ব রেলের অধিকাংশ আরপিএফ সেনাই এখন দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। করোনা মহামারীতে যেখানে তারা প্রশংসা কুড়িয়েছেন, সেখানে আজ PCSC/ER-এর নির্দেশ জারি হওয়ার পর থেকেই হয়রান তারা।

বিষয়টি এইরকম, সাল ২০১৯-এ স্থানান্তরকরণ এবং ১০-১৫ বছর শহর অঞ্চলে বসবাসকারীদের স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু প্রায় ১৫০ জন কর্মীকে এক বছরের জন্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের ভিত্তিতে তাদের আটকে দেওয়া হয়।

কিন্তু এই বছর করোনা এবং লকডাউনের কারণে সমস্ত ব্যবস্থাটি ওলট-পালট হয়ে গেছে। কিছু বোর্ডের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বাকি রয়েছে, যা জুলাইতে হওয়ার কথা। তাযপরেই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল বেরোবে।এইচআইডি মিনিস্ট্রির তথ্য অনুযায়ী আগস্টে কলেজ খোলার জন্য বিচার বিবেচনা চলছে। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, আরপিএফ-এর উচ্চ আধিকারিকরা কি এই বিষয়টি জানেন না? তাদের পরিবারের কোনো সদস্য বা সদস্য কি এইচএস স্কুল কলেজে পড়েন না? এমনটা হতেই পারে না। নাকি তারা দেশ দুনিয়ার এই পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞাত নন?

আরপিএফ-এর নিয়মানুসারে প্রতিবছর দুই প্রকারের স্থানান্তরণ হয়। প্রথম,১০-১৫ বছরের স্থানান্তর এবং দ্বিতীয়,৩-৫ বছরের স্থানান্তর।

আপাত পরিস্থিতিতে স্থানান্তরের জন্য আরপিএফ সেনারা মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত থাকেন। কিন্তু এখন করোনা মহামারী সমস্যায় জর্জরিত গোটা দেশ। রাস্তাঘাট শুনশান, আর্থিক গতিবিধি স্তব্ধ, জীবনটা প্রায় থমকেই গিয়েছে।

আরপিএফ সেনারা এখন ভারতের মানুষকে জীবিত রাখার জন্য বাহাদুরির সঙ্গে নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন।

তারা জানেনও না যে কে বা কারা করোনার বাহক। কিন্তু তাদের কাছে নিজেদের কর্তব্য সর্বোপরি। তাই তারা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে দুঃস্থ পিছিয়ে পড়া মানুষদের খাদ্য প্রদান করছেন। অন্যদিকে তারা রিয়েল কর্মীদের কর্মস্থল পর্যন্ত পৌঁছে দেবার সুরক্ষিত ব্যবস্থা করছেন।

কিন্তু আজ এই করোনা যোদ্ধারাই ভীত। কিছু কর্মীদের স্থানান্তরের তালিকা বেরিয়ে গেছে, আর কিছু কর্মীর তালিকা এখনো বাকি। স্থানান্তর নিয়ে এইরকম ভয়-ভীতি কখনোই একজন আরপিএফ সেনার চোখে-মুখে দেখা যায়নি। তাদের একটাই দুশ্চিন্তা যে, তারা তাদের ছেলেমেয়েদের অ্যাডডমিশন, থাকার জায়গা এবং বিপন্ন এই আর্থিক পরিস্থিতিতে স্থানান্তরের জন্য যে খরচ সহ অন্যান্য খরচ তাদের মানসিকভাবে ভেঙে ফেলেছে।

DG/RPF-এর নিজেদের কর্মীদের এই চিন্তার সমাধান করে তাদের এই অবসাদ থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত। এক বছরের জন্য স্থানান্তরকরণ করে দিলে ওই কর্মীদের সাথে সাথে রেলেরও লাভ হবে।
এই আর্থিক সংকটে আরপিএফ কর্মীদের স্থানান্তরের জন্য যে ভাতা দেওয়া হয়,সেটিও রেল বাচাতে পারবে। এর পাশাপাশি আরপিএফ কর্মীরাও মানসিক অবসাদ থেকে এক বছরের জন্য মুক্তি পাবেন।
DG/RPF-এর এই সমস্যার সমাধান দ্রুত করা উচিত।