অবতক খবর,১১ ডিসেম্বর: স্ত্রীকে বালিস চাপা দিয়ে খুন করে পাশের বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কে দেহ লুকিয়ে রেখেছিল।প্রায় ছয় বছর বাদে মঙ্গলবার অভিযুক্ত স্বামী গোপাল দাসকে মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত করল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল থার্ড কোর্ট অভিযুক্ত গোপাল দাস পেশার ডেকোরেটরের কাজ করতেন।

এই মামলার মোট ১৮জন সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) রাকেশ সিং সাংবাদিক বৈঠক করে জানান,২০১৯ সালে ১৯শে এপ্রিল জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানা এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিল অভিযুক্ত স্বামী গোপাল দাস।পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে স্ত্রী লতা দাসকে সন্দেহ করত গোপাল।এই সন্দেহের কারণে স্ত্রীকে বালিস চাপা দিয়ে হত্যা করে গোপাল।শ্বশুর বাড়িতে গোপাল ডেকোরেটরের কাজের দঁড়ি ও ইট নিয়ে এসেছিল বলে দাবি।

বালিস চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করার পর পরনের শাড়ি খুলে হাত পা ডেকোরেটরের দঁড়ি দিয়ে বেঁধে ইট বেঁধে মৃতদেহ সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছিল।পুলিশ সেফটিপিন ট্যাঙ্ক থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

তদন্তে নেমে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে ৩০২ ও ২০১ ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।এ দিন মামলাটি জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল থার্ড কোর্ট উঠেছিল।বিচারক বিপ্লব রায় ১৮ জনের সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যু দণ্ড ঘোষণা করেছেন।