স্কন্ধাবার
তমাল সাহা
স্কন্ধাবার আগেভাগে সাজিয়ে রেখেছি আমি।
বস্তুত প্রেম করে কোনো লাভ হয় না।
তোর দেহজ কৃষ্ণ অলক দাম তরঙ্গভঙ্গিল কোমর ওষ্ঠের কামার্ত রেখা আমাকে দেখাস না।
স্তন থেকে নাভিমূল ছুঁয়ে জন্মদ্বারপর্যন্ত আমাকে নিয়ে যেতে পারবি, তারপর?
বখাটে হাওয়া কতদূর যায়, যেতে পারে!
লণ্ডভণ্ড করতে পারে
মাটির শরীরে দাঁড়িয়ে থাকা গাছপালা ঘর বাড়ি, এটা কি প্রমত্ত প্রেম!
তোলপাড় করে দেবো আমি, তোকে ছারখার করে দেবো।
চুরমার করে দেবো তোর শরীরী রিরংসার অহংকার।
সময় ক্রমাগত বখে যায়, অসভ্যভাবে দুরন্ত ছোটে।
বস্তুত আমার কোনো প্রেম নেই
লাম্পট্য বলে কোনো শব্দ হয় না।
আমি নৃসিংহ হয়ে হাত দুটি স্তনবদ্ধ রেখে তোর বুকের উপত্যকা চিরে রক্ত পান করবো।
শুয়োরের খোঁয়াড়ের ছাউনির নিচে মন্ত্রীর মতো সংসদের মতো নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ঘুষ খাবো
গরিবের পেটের চাল, মাথার চাল কেড়ে খাবো
আমি তিনটে চারটে অনেক মেয়ে মানুষ রাখবো।
চিতাকাঠের আগুন নয় ইলেকট্রিক শ্মশান চুল্লীর গনগনে আগুনের বিশাল গহ্বরের দখল আমি চাই।
আমি দলবদল করব– রামধনু রং আমার চাই।
আমি অগ্রদানী ব্রাহ্মমানুষ হবো।
আমি সেন্ট্রাল ভিস্তার উপর দাপাদাপি করবো
হনুমানের বিশাল গদা আমি ছিনিয়ে নেবো
আমি কর্পোরেটদের কোমর ভেঙে দেবো।
আমি চাঁদে যাবো যাবতীয় জোৎস্নাকে পদদলিত করবো, সূর্যকে গিলে খাবো।
ঈশ্বর আল্লাহকে আমি হারামির বাচ্চা বলবো।
আমি রুদ্ররাজ হবো নীলকন্ঠ হয়ে আমি গরল পান করবো, আমার ভয়ের কিছু নেই।
আমি আগেভাগেই স্কন্ধাবার সাজিয়ে রেখেছি
আমি আসছি
তোর ঋতম্ভরা স্তনপাত্র
পীযূষ পান করাবে বলে অধীর আগ্রহে আমার প্রতীক্ষায় আছে।