আজ সেই মহান জাদু সম্রাট পিসি সরকারের মৃত্যুদিন। পিসি সরকার, প্রতুল চন্দ্র সরকার। উচ্চ শিক্ষিত, বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। ‌জাদুকে তিনি বিজ্ঞানভিত্তিক শিল্পে পরিণত করেছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিকে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। আমরা ভারতীয়রা কি তাঁকে যথার্থ সম্মান দিয়েছি? আর আমরা বাঙালিরা? তাঁকে বিস্মৃত হয়েছি।

সৌভিক
তমাল সাহা

ভারতবর্ষ বিশাল
তাকে আর আমি কতটুকু চিনি?
তা না হলেও বাঙালির চরিত্র তো আমি জানি, আছে শুধু তার চমকানি।
তোমাকে বিস্মরণ,এ তো স্বাভাবিক
অথচ কী আশ্চর্য অপূর্ব তোমার জীবনকাহিনী।

তুমি এখন আছো ইন্দ্রসভায়।
তাহারা দেখিতেছে তোমার ইন্দ্রজাল।
আমরা এখন ব্যস্ত বেহাল
হাতে এক যন্ত্র বিশেষ অন্তর্জাল।

ধুত্তোর, তোর জাদু!
জাদু তুমি বলতে না। বলতে,
জাদু এক শৈলী।
বিজ্ঞানের বুদ্ধিমত্তা,হাতের নৈপুণ্য।
শিল্প কতদূর গেলে কৌতূহল মেটায়?
পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহ হাততালিতে পরিপূর্ণ।
তোমার এক একটি ইন্দ্রজাল প্রদর্শন,
রীতিমতো বিশ্বের চক্ষু চড়কগাছ,
চরম আকর্ষণ।

তুমি তো শল্য চিকিৎসক!
প্রকাশ্যে মঞ্চে দুফালা করো নারী করাতে।
আমরা আশ্চর্য হয়ে দেখি
কী লেখা আছে তার বরাতে।
সতেরোটি তালাবদ্ধ হাতকড়া।
তোমার দেহ পড়ে আছে রেললাইনের উপর।
হাতবেড়ি খুলে উঠে এলে ৩৭ সেকেন্ড আগে
দুরন্ত ট্রেন তুড়ন্ত চলে গেল চণ্ডালি রাগে।
তুমি তো কর্মবীর,নও অলস
ওয়াটার অফ ইন্ডিয়া
সব নদীর জলে পূর্ণ ওঠে মঙ্গল কলস।
কত সব জাদুকরী খেলা
জীবন চলেছে হেঁটে, চরৈবেতি বেলা।

ইন্দ্রজাল মঞ্চেই তোমার ঐন্দ্রজালিক প্রস্থান।
বিশ্ব হৃদয়ে চিরকালীন স্থান।

বাঙালি কাঁপায় বিশ্ব,নাচায় দুনিয়া।
আন্তর্জাতিকে তোমার শিল্পের সম্মান,
ভারতবর্ষের জয়গান।

তুমি মহান শিল্পী ঐন্দ্রজালিক,
জানু পেতে বসে আছি
তোমার প্রতিকৃতির সম্মুখে আমি,
ভারতীয় বাঙালি তুমি জাদু সম্রাট, ঐতিহাসিক।