অবতক খবর,১৩ জানুয়ারি: অর্জুন সিং বনাম সোমনাথ শ্যাম দ্বন্দ্ব এখনো জারি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফের হস্তক্ষেপ করলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় দ্বন্দ্ব নিয়ে কেউ যেন প্রকাশ্যে মুখ না খোলেন এই নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে এ বিষয়ে সতর্ক করার পর শুক্রবার জগদ্দলের বিধায়ক সেমনাথ শ্যামকে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়ে সাবধান করা হয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী তাঁকে দলীয় কোন্দল নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বারণ করলেন।
সূত্রের খবর,সোমনাথ শ্যামকে রাজ্য সভাপতি সাফ বলে দিয়েছেন, কারও সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব হলে দলের মধ্যেই তা জানাতে হবে। প্রকাশ্যে এ নিয়ে কিছু বলা যাবে না। সংগঠন নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে তাও জানাতে হবে শীর্ষ নেতৃত্বকেই। তাঁরাই এর সমাধান করবেন ।যদিও বৈঠক এই নিয়ে সোমনাথ শ্যাম কিছু বলতে চাননি। শুধু তিনি জানিয়েছেন, জগদ্দল উৎসবের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে কথা হয়েছে। তবে এদিন সন্ধ্যায় টিটাগড়ের কেলভিন জুটমিল গেটে INTTUC-র একটি সভায় যোগ দিয়ে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,”আগামি দিনে আমিও খুন হতে পারি। আকাশ যাদব খুনের সাক্ষী ভিকি যাদব খুন হয়েছেন। এখন ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় আমি প্রতিবাদ করছি। এছাড়াও একাধিক খুন-সহ অন্যান্য ঘটনায় আমি সরব হয়েছি। তাই আমিও খুন হতে পারি।”
আর তার পরই সোমনাথ শ্যামের নিরাপত্তা বাড়ানো হল। এবার থেকে আরও ৪ জন পুলিশ থাকবে তাঁর সঙ্গে। যদিও এই নিরাপত্তা বৃদ্ধি নিয়ে পুলিশের তরফে ‘রুটিন’ বলে জানানো হয়।