সুকান্ত চর্চা
তমাল সাহা

১) কবি

সবাই কবি হতে পারে
সুকান্ত হতে পারেনা।
কবি হওয়া সহজ
সুকান্ত হতে গেলে চাই
বীক্ষণ বাস্তব বিজ্ঞান ও মগজ।

২) চাঁদ রুটি

কত সহজে
চাঁদকে বানিয়ে দিলে ঝলসানো রুটি!
এই চিত্রকল্পে বড় বড় কবিরা গেল চমকে
দেখালো তোমায় ভ্রুকুটি!

৩) তোমার কথা

মনে আছে, মনে আছে
তুমি বলেছিলে সুকান্ত!
পূর্বকোণে উঠবে সূর্য
লালে লাল রক্তিম আকাশ
দিক থেকে দিগন্ত!

৪) হুঁশিয়ারি

রাষ্ট্রের যেন শুধু চোখ আছে,
আমাদের নেই!
রাষ্ট্র রাঙায় চোখ
যদি আমরা রাঙাই
হারিয়ে ফেলবে খেই।

রাষ্ট্রের চোখ আছে কটি?
আমাদের চোখ অগণন কোটি কোটি।
দেখেনি তো আমাদের ভ্রুকুটি!

রাষ্ট্রের হাতে অস্ত্র আছে, মানি।
কিন্তু আমরা তো জানি
আমাদের হাতে আছে লড়াকু কবি।
আর, কবি ছাড়া জয় বৃথা,
এটা কে না জানে?
এমনকি আকাশ বাতাস, চন্দ্র তারা রবি।

৫) খাদ্য

আমি কি লিখি আর!
তোমাকেই উচ্চারণ করি বারবার।
রাষ্ট্র কিসের বড় ভক্ত?
তুমি স্পষ্ট জানিয়ে দাও,
সবচেয়ে ভালো খেতে গরিবের রক্ত!

৬)আজ

আজ যদি থাকতো সুকান্ত
কলম কি তার থামতো?
দিন রাত তিনি অক্লান্ত
ক্লান্ত কলম ঘামতো!

সোচ্চারে বলতো, ভাই হো!
দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ো
বিকল্প নেই, আজ বিদ্রোহ।

৭) বাতিওয়ালা

বাতিওয়ালা বলেছিল, প্রিয়তমাসু!
দিগন্তে প্রত্যাসন্ন সর্বনাশের ঝড়।
স্পর্শের সময় নয় এখন
পাশে থাকো, সঙ্গে থাকো
এ তো তোমার আমার প্রস্তুতির প্রহর।

৮) ছাড়পত্র

সুকান্ত রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক কবি
আমি তার কি জানি?

মায়ের পেট থেকে পড়ে
পৃথিবীর ছাড়পত্র পেয়েছে যে
যে সুকান্ত পড়েনি
হয়তো বা পৃথিবী দেখেছে, বাস্তবতা শেখেনি।

৯) কেন

কেশে কেশে রক্ত তুলে কেন চলে গেলে
তেরো মে উনিশশো সাতচল্লিশ সালে?
বোধ করি
এই পনেরো আগস্ট, এই স্বাধীনতা চাও নি বলে!