জেলখানার ভিতরে থেকে টুকরো টুকরো সিগারেটের কাগজে জীবন লিখে গিয়েছিল মানুষটিঃ জুলিয়াস ফুচিক
ফাঁসির মঞ্চ থেকে হাসি ৮ সেপ্টেম্বর

সিগারেটের কাগজে জীবন
তমাল সাহা

সিগারেটের প্যাকেট দেখলেই
তোমার কথা মনে পড়ে।
জেলখানা সিগারেটের কাগজ ও কলম
কি নির্মাণ করতে পারে?
সিগারেটের কাগজে লেখা সেই চিরকুট
খণ্ড খণ্ড থেকে অখণ্ড হয়ে ওঠে
হয়ে ওঠে পৃথিবীর চরমতম বিস্ময়।

রাষ্ট্র কি জানে বন্দীর চেয়েও
চিরকুট কত ক্ষমতা ধরে?
জেলের গরাদ দিয়ে পাখির উড়াল দেয়,
মিশে যায় জনসমুদ্রে।

শ্রমিক তুমি,
ইস্পাত কারখানার কামগার।
হাতুড়ি পেটাতে কোনোদিন কামারশালে।
বলেছিলে, হাতুড়ি-ই তো শেখালো আমাকে লিখতে রাজনৈতিক ইশতেহার।

নাৎসিদের সেই গোপন তল্লাশি!
কমরেডদের কি বলেছিলে তুমি?
আমাকে গুলি করে তোমরা পালাও,
এখনো অনেক কাজ বাকি।
গ্রেপ্তারের চেয়েও মৃত্যু
তোমার কাছে সহজ সঙ্গী।

বিপ্লবকে ভালবাসলে জেল জীবনও
মধুর হয়ে ওঠে তোমার মতো হে প্রিয়তমা!
প্রিয়তমাকে এভাবে জড়িয়ে নিয়েছে ভালোবাসা—
দুটি জীবন কেমন সম্পৃক্ত হয়ে যায়।
হে মানুষ!
জেনে নাও ভালোবাসার নান্দীপাঠ।

তুমি যখন ফাঁসির দড়িকে করছো চুম্বন
প্রিয়তমা তোমার কন্সেন্ট্রেশন শিবিরে
বাষ্প চোখে জড়ো করছে পান্ডুলিপিগুলি।
আক্ষরিক সজ্জায় ঘুরে বেড়াবে মানুষের হাতে হাতে–
তোমার সেই ‘নোটস ফ্রম দি গেলোজ’।
আমাদের জীবন যুদ্ধে সূর্য হয়ে ওঠে রোজ।