অবতক খবর,৩১ ডিসেম্বর: সিকিমে ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়া নিউ ব্যারাকপুরের শোভন শাসমল মঙ্গলবার সকালে অবশেষে পৌছলেন বাড়িতে। ভেঙেছে পা শরীরের একাধিক জায়গায় গুরুতর আঘাত থাকলেও আজ যেন মানসিক কষ্ট টাই বড় ব্যথা দিচ্ছে তাকে। যে ব্যথা শারীরিক কষ্টের থেকেও অনেক কঠিন ।
সিকিমে যাওয়ার জন্য যে ম্যারেড সার্টিফিকেট ও দু’বছর আট মাস বয়সের মেয়ের বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়েছিলেন, এদিন তাদের ডেড সার্টিফিকেট নিয়েই ফিরতে হলেও বাড়িতে। এই মানসিক যন্ত্রণাই যেন কুরে কুরে খাচ্ছে দুর্ঘটনায় আহত হওয়া শোভন কে। এদিন এম্বুলেন্সে শুয়ে সে কথাগুলোই বারংবার আওরে যাচ্ছিলেন তিনি। একেবারে একা হয়ে গেলেন প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে। এই দুর্ঘটনায় আক্ষেপও থেকে গেল তার পরিবারে। একজন বেঁচে থাকলেও আজ হয়তো কিছুটা মানসিক শান্তি মিলতো বলেও অকপট স্বীকারোক্তি সিকিমে পাহাড়ে দুর্ঘটনায় আহত হওয়া শোভন শাসমলের।
এদিন সকালে শোভনের সঙ্গেই কলকাতায় ফিরেছেন আরও তিন আহত পরিবারের সদস্য মামাতো দাদা অভিজিৎ ঘোষ, বৌদি অমৃতা ঘোষ এবং কন্যা অভিমৃতা ঘোষ। এদিন সকালে নিউ বারাকপুর পুরসভার ডাঃ বি সি রায় জেনারেল ও মাতৃসদন হাসপাতালে পৌঁছন শোভন। এম্বুলেন্সে শুয়েই স্ত্রী ও মেয়ের কফিনবন্দি দেহ দেখেন তিনি। মৃত মেয়েকে সমাধিস্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিন তার আহত দাদা বৌদি এবং মেয়েকে সোজা কলকাতা এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। এখান থেকেই এদিন স্ত্রী ও মেয়ের দেহ যাবে মধ্যমগ্রাম বসুনগরে পায়েল শাসমলের বাড়িতে। এরপর সেখান থেকেই নিয়ে যাওয়া হবে নিউ বারাকপুর সুকান্ত সরণী শোভন শাসমলের বাড়ি। সেখান থেকে বরাহনগর রামকৃষ্ণ মহাশশ্মানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে পায়েলের। এদিন পিসহেভেন থেকে দেহ পৌঁছানো মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয় পরিজনরা। অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে শোভন শ্বাসমলের চোখ দিয়েও গড়িয়ে পড়ে জল। বারবার আউরে যাচ্ছেন একটাই বুলি বড় একা হয়ে গেলাম।