অবতক খবর,২১ মেঃ আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী জেলা কার্যালয়ে বসে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন তৃণমূলে এখন কোন কিছু নেই ১০০ দিনের টাকা নেই ঘর এর টাকা নেই কোথা থেকে পাবে বোম বানিয়ে মস্তানি করে মানুষের কাছে আদায় ভিত্তি করে চলবে। এগুলো করতে গেলে আগামী দিনে পঞ্চায়েতের টিকিট প্রয়োজন, দিদির টিকিট পাওয়া যাবে কি যাবে না?

তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না কেউ ভাবছে পাব কেউ ভাবছে পাবো না। এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে শুরু হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এটাই আগামী দিনের বাংলা বললেন অধীর চৌধুরী। অধীর রঞ্জন চৌধুরী তিনি আজ বলেন আমাদের একটাই অভিযোগ নবোজোয়ারের নামে বাংলায় কোটি কোটি টাকা তছরুপ হচ্ছে, এবং সেটা সরকারি টাকা। অধীর বলেন এর হিসেব আমরা চাই নব জোয়ার কর্মসূচি সফল করার জন্য এই পার্টি কোথা থেকে টাকা তুলে কিভাবে খরচা করলো সেটুকু বাংলার মানুষকে জানালে আমরা বাধিত হবো বললেন অধীর। অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলেন্টিয়ার সম্বন্ধে বললেন এদের অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি বলেন 11 বছর ধরে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের চাকরিতে নিযুক্ত করা হয়েছে এটি সম্পূর্ণ কন্ট্রাক্টে চাকরি তাদেরকে ৯০০০ টাকা করে বেতন দেয়া হয়।

তিনি দুঃখ করে বলেন ১১ বছর পার হয়ে যাবার পর তারা যে তিমিরে ছিল সেই তিমির এই ফিরে যাবে। অধীর বলেন এদের ভবিষ্যৎ কি তারা জানে না, তাদেরকে ক্রীতদাস হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই সরকার তাদের দারিদ্রদার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে দিয়ে মুখ বুজে সব কাজ করাচ্ছে। অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন সিভিকরাও জানে তাদের কথা না শুনলে পরে এই নয় হাজার টাকাটাও পাব না। তাই ইচ্ছা থাক বা না থাক ভালো লাগুক বা না লাগুক সরকারি দলের নির্দেশ মানতে তারা বাধ্য।

আর যদি না মানে তালে ঘরের ভাত ডালটা তাদের জুটবে না সাংবাদিক বৈঠকে বললেন অধীর। তিনি বলেন এই রাজনীতি ভারতে আগে করত ব্রিটিশরা তাদের জমানিতে বন্ডেড লেবার, আজকের সিভিকদেরকেও সেই বন্ডের লেবারে পরিণত করা হয়েছে বললেন অধীর। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের প্রচুর পদ খালি পড়ে আছে। কেন সেই সব জাগায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না, কেন তাদের ট্রেনিং দিয়ে পুলিশ করা হচ্ছে না। অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন তিন বছরের ট্রেনিং দিয়ে আপনি ডাক্তার বানাতে পাচ্ছেন আর এগারো বছরের অভিজ্ঞতা যাদের আছে তাদের আপনি পুলিশ বানাতে পারছেন না।