অবতক খবর,১২ ডিসেম্বর,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমান:বাঙালির বারো মাসে ১৩ পার্বণ।
নবান্ন উৎসব হল বাঙালির জনপ্রিয় অন্যতম প্রাচীন একটি পার্বণ।
নবান্ন উৎসব হলো নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। ননবান্নে সাধারণত বাংলার অগ্রায়ন মাসে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে বিভিন্ন ধরনের ভাজাভুজি ও নতুন নতুন শাক সবজি সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র রান্নাবান্না করে গ্রহণ করে এই উৎসব পালন করে চাষিরা।

তাই আজ মন্তেশ্বর ব্লকের জয়রামপুর ত্রিপল্লী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা নাচ, গান, সহ বিদ্যালয়ের মধ্যে বিভিন্ন রকমের সবজি, রান্না করে ও আখ, নারিকেল, কলাইয়ের বড়ি, ভাজাবুজি, ও পায়েস রান্নার করার মধ্য দিয়ে, শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের একইসঙ্গে বসে খাওয়ানোর মাধ্যমে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মধুসূদন চ্যাটার্জী জানান আমাদের এই এলাকায় চাষী ও গরিব ক্ষেতমজুর প্রবন এলাকা ।তাদের কাজের তাগিদে অনেক সময় নবান্ন উৎসব পালন করা হয় না।
তাই আমরা বিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে নবান্ন উৎসবের আচার অনুষ্ঠান মেনে প্রথমে বিভিন্ন ফলমূল মাখিয়ে চালখাওয়া থেকে , তার পর নারিকেল ভাজা, আঁখ ভাজা সহ বিভিন্ন ভাজাভুজি করে , বিদ্যালয়ের প্রায় ১২৭ জন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকেরা একসঙ্গে বসে নতুন চালের রান্না ভাত নবান্ন খাওয়ার মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তার মধ্য দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দ মুখর করে তুলে আজ বিদ্যালয়ে আনন্দ উৎসাহের সঙ্গে নবান্ন উৎসব পালিত হয় বলে জানান তিনি।

এই অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন মন্তেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় এক নম্বর চক্র সম্পদের সার্কেলে ইন্সপেক্টর শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
স্কুলে এরকম উৎসব হওয়ায় বিদ্যালয়ের সার্কেল ইন্সপেক্টর থেকে ছাত্রছাত্রীরাও খুশি বলে জানান তারা।