সন্দেশখালি সিরিজ— ছয়
১) সন্দেশখালি সশস্ত্রী
আমিও তো নারীদের মতো
চোখে মাখতে চাই স্বপ্নের কাজল
হতে চাই সৃজনের সুরে গর্ভবতী
আমার চোখে এখন
অহল্যা মায়ের কান্নার জল
সন্দেশখালিতে মা আমার অস্ত্রবতী
২) সন্দেশখালি ও সাংবাদিক
পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন?
—পুলিশ?
ন্যাকা চৈতন্য যেন কিচ্ছু জানেনা!
পুলিশের বিরুদ্ধেই তো আমাদের নালিশ।
৩) পুলিশের বাড়ির লোক
পুলিশ যখন সন্দেশখালি আসে
তারা কী ভুলে যায়
বাড়িতে মা বোন বউ আছে?
পুলিশ যখন সন্দেশখালিতে আসে
পরিবারের লোকজন
পুলিশি কাণ্ড সব টিভিতে দ্যাখে।
এসব দেখে
মা বোন বৌরা কী হাসতে হাসতে কাঁদে
না কাঁদতে কাঁদতে হাসে?
৪) সন্দেশখালিতেই বনলতারা ছিল
গবেষণায় জানা যায় সন্দেশখালিতেই আসলে বনলতারা ছিল।
নোনা জল বাতাসের আবহাওয়ায় তাদের দেহ সৌষ্ঠব অন্যরকম ছিল।
সন্দেশখালির বনলতারা জীবনানন্দ পড়ে ফেলেছিল।
তবে তাদের চোখ আর পাখির নীড়ের মতো ছিল না।
আগুন রাঙা চোখে তারা শাসক নেতা সুধীজন সকলকেই শুধিয়েছিল, এতদিন কোথায় ছিলেন?
৫) পুলিশের মুখ
আমি জীবনানন্দের কবিতা পড়িয়াছি বারবার
আমি সন্দেশখালিতে
পুলিশের মুখ দেখিয়াছি
পৃথিবীতে কারো মুখ দেখিতে চাই না আর!