অবতক খবর,১৮ ডিসেম্বর,দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর: ললিত ঝাঁ! নিল আইচদের এই সংগঠনই এখন দেশ জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এবার এই সংগঠন নিয়ে উঠে এলো আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিভিন্ন জেলায় সমাজমাধ্যমে যোগাযোগ করে সংগঠন বাড়ানোর কাজে নেমেছিল ললিত ঝাঁ রা। হ্যাঁ কিভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর, মেদিনীপুর শহরেও থাবা বসিয়েছিল সাম্যবাদী সুভাষ সভা।
মাস কয়েক আগে সমাজ মাধ্যমেই যোগাযোগ করা হয় দাসপুরের ল ক্লার্ক হিমাংশু শেখর মান্নার সাথে। দাসপুর ঘাটাল সহ আশেপাশের এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হিমাংশু কে। এলাকায় সংগঠন তৈরি করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। এক্সক্লুসিভলি হিমাংশু জানায়, এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ফান্ড জমা করতে বলা হয়েছিল তাকে। ললিত ঝারায় যে সংসদে হামলার মতো এত বড় ঘটনা ঘটাতে পারে বিন্দু বিসর্গ তা টের পাননি হিমাংশু। টিভি তে সংসদ হামলার খবর দেখানোর পরেই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যায় হিমাংশু। একইভাবে মেদিনীপুর শহরেও টার্গেট করা হয় মনিস মাইতি নামে এক যুবককে। শনিবার রাতে মেদিনীপুর শহরে ডিরোজিওনগরে মনীষের বাড়িতে গেলেও দেখা মেলেনি। বাড়িতে তালা। ঠিক এই ভাবেই সাম্যবাদী সুভাষ সভা নিজেদের জাল বিস্তারের চেষ্টা করছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।
যার মধ্যে বাদ যায়নি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ও। এই সংগঠনের আসল উদ্দেশ্য কি বা সমাজ সেবার আড়ালে কোন বিশেষ উদ্দেশ্য এই সংগঠনের ছিল কিনা তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন!