শ্রীকৃষ্ণকথা
তমাল সাহা

সে তো আদিকাল,
গোপিনীরা নেমেছিল জলে,
বস্ত্রগুলি রেখেছিল তুলে।
নিচু ডালে বসে
ভারি অসভ্য শ্রীকৃষ্ণ তুই!
জলের ভেতর জলকে ছুঁই।

স্তনবৃন্ত ছিঁড়ে নেয় দাঁতের কামড়,
কত দুর্যোধন আমাদের বাড়ি আসে
ছেঁড়াখোঁড়া মা চেতনাহীন,
বিধ্বস্ত মেয়েটিও পড়ে থাকে পাশে।

পাঞ্চালির বস্ত্র টেনেছিল
সজোরে দুঃশাসন,
খোলেনিকো,
খুলতে পারেনিকো তার শাড়ি,
তখন তো ছিলি তুই!
এখন খুলে বিবস্ত্র হয়ে যায়
মাটিতে আছড়ে পড়ে জুঁই।

নিচু ডালে বসে কি দেখিস শ্রীকৃষ্ণ?
তুই কি নিষ্ঠুর নাকি? ভারি অসভ্য তুই!

তোকে নিয়ে অনেক গল্প আজ—
তুই নাকি রমণীবাজ।
নিন্দেতে মেতেছে তারা,
নিজেরা নামেনি ময়দানে।
মৃদঙ্গ-করতাল বাজিয়ে
সে কত শ্লোগান,সংকীর্তন–
মানুষের জয়গানে।

বোঝেনি তারা তোর চরিত্র,
দক্ষ লেখকের নির্মাণ–প্রতীক।
তারা আজ দিগভ্রান্ত, উদভ্রান্ত
ছুটছে এদিক ওদিক।

তুই তো বলেছিলি যুদ্ধের কথা,
কখন কেন প্রয়োজন রণক্ষেত্র
চোখ থাকলেই কি সব দেখা যায়!
কোথায় আমাদের ত্রিনেত্র?

শ্রীকৃষ্ণ শব্দের অর্থ কী
শ্রী শব্দটি বসে কেন আগে?
কৃষ্ণ কালো আদিবাসী নাকি
কর্ষণের বোধ বুঝি জাগে!

তোর তো ছিল
অক্ষৌহিণী বাহিনী নারায়ণী সেনা
পাঞ্চজন্য বাজিয়ে যুদ্ধের ঘোষণা
এইসব চিত্রকল্প থেকে
তুমি কি কিছুই নেবে না?

রূপদক্ষ শিল্পী
কৃষ্ণের আগে শ্রী বসিয়ে
খুঁজে পায় কোন ঐশ্বর্য?
এ কোন্ রূপক, বোঝো কি তুমি ?
আছে দেহে ক্ষাত্রবীর্য!